ঢাকা, রবিবার, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

বিজ্ঞাপনের আড়ালে ঢাকা পড়ছে সড়কের সৌন্দর্য

মো. আমিরুজ্জামান, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫১৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৬, ২০২৩
বিজ্ঞাপনের আড়ালে ঢাকা পড়ছে সড়কের সৌন্দর্য

নীলফামারী: নীলফামারী শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়কের দেয়ালে লেখা হচ্ছে বিজ্ঞাপনী সাইনবোর্ড। এতে শোভা নষ্ট হচ্ছে দৃষ্টিনন্দন বিভিন্ন সড়কের।

এসব বিজ্ঞাপনী সাইনবোর্ড সবখানে ছেয়ে গেলেও তা থেকে কোনো রাজস্ব পাচ্ছে না পৌরসভা। অবৈধ এসব সাইনবোর্ডগুলো মুছে ফেলার দাবি তুলেছেন স্থানীয়রা।

নীলফামারীর সৈয়দপুর শহরের ভিআইপি সড়ক (গুরুত্বপূর্ণ) হিসাবে খ্যাত শহীদ ক্যাপ্টেন মীঢ়ধা রোড়ে প্রতিদিন চলাচল করেন বিমানে আসা-যাওয়া করা যাত্রীরা। সরজমিনে দেখা যায়, সৈয়দপুর পৌরসভার ওই সড়কটির নান্দকিতা নষ্ট করা হয়েছে। শহরটির উভয় পাশে সাদা ধবধবে দেয়াল ভরে গেছে বিজ্ঞাপনে। সড়কের পাশের সব জায়গা বিজ্ঞাপন দিয়ে দখল করে রাখা হয়েছে। কোচিং সেন্টার, লাইব্রেরি দোকান, জুতা-স্যান্ডেল, কসমেটিকস পন্যের বিজ্ঞাপনে ভরা সড়কের আসেপাশের দেয়াল জুড়ে।

কথা হয় পথচারী ও শিক্ষক আহসান হাবিবের সঙ্গে। তিনি বলেন, এটি খুবই দৃষ্টিকটু। গুরুত্বপূর্ণ এ সড়কটির সফেদ দেওয়াল দেখে আমরা মনে করতাম এটি বিদেশের কোনো রাস্তা। এখন হিজিবিজি বিজ্ঞাপন দেখে খুবই খারাপ লাগছে। অবশ্যই এসব মুছে ফেলতে হবে। নয়তো সৈয়দপুর শহর তার গুরুত্ব হারাবে।

সৈয়দপুর সেনানিবাসে অবস্থিত বাংলাদেশ আর্মি ইউনিভার্সিটি অফ সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি (বাউস্ট) শিক্ষার্থী রওনক জামান হৃদয় বলেন, সৈয়দপুর শহরটি মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি বিজড়িত জনপদ। আমি মনে করি, সফেদ দেয়ালে বিজ্ঞাপন না লিখে, সেখানে মুক্তিযুদ্ধের নানা চিত্র তুলে ধরা হলে সড়কটির গুরুত্ব আরও বাড়বে। এটি ঐতিহাসিক হয়ে উঠবে।

পৌরসভা সূত্র জানায়, শহীদ ক্যাপ্টেন মীঢ়ধা সড়কটি বঙ্গবন্ধু চত্বর থেকে বের হয়ে চলে গেছে সৈয়দপুর বিমানবন্দর পর্যন্ত। একই সড়ক সৈয়দপুর সেনানিবাসে মিশে গেছে। সড়কটির মাঝামাঝি স্থান বীরশ্রেষ্ঠ চত্বর থেকে আরও একটি গন্তব্য চলে গেছে সৈয়দপুর উপজেলা পরিষদ হয়ে পার্বতীপুর ও সৈয়দপুর বাস টার্মিনাল পর্যন্ত। প্রায় দুই কিলোমিটার দৃষ্টিনন্দন সড়কটির উভয় পাশে রয়েছে সফেদ বেষ্টনি দেয়াল। বেষ্টনির ওপাড়ে রয়েছে রেলওয়ের বৃটিশ স্থাপনা। রেলওয়ের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ওই স্থাপনাগুলোতে বসবাস করেন। সেই এলাকাটির নাম অফিসার্স কলোনি।

একই সড়ক দিয়ে যাওয়া যায় আর্মি বিজ্ঞান প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, ক্যান্ট বোর্ড স্কুল, সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল, সৈয়দপুর বিজ্ঞান কলেজ, লায়ন্স স্কুল ও কলেজ ও ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল ও কলেজ। এসব প্রতিষ্ঠান ও বিমানবন্দরের যাত্রীদের চলাচলের কারণে সড়কটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

এ প্রসঙ্গে সৈয়দপুর পৌরসভার মেয়র রাফিকা আকতার জাহান বলেন, দেয়ালে আাঁকা বিজ্ঞাপনগুলো সবই অবৈধ। এসব থেকে পৌরসভা কোনো রাজস্ব পায় না। এমনকি অনুমোদনও নেওয়া হয়নি। খুব শিগগিরই এসব মুছে ফেলা হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৫০৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৫, ২০২৩
এফআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।