ঢাকা, সোমবার, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ২০ মে ২০২৪, ১১ জিলকদ ১৪৪৫

জাতীয়

ছুটির দিনে বইমেলায় মানুষের ঢল

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৩৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১০, ২০২৩
ছুটির দিনে বইমেলায় মানুষের ঢল ছবি: দেলোয়ার হোসেন বাদল

ঢাকা: সাপ্তাহিক ছুটির দিনে মানুষের ঢল নেমেছে অমর একুশে বইমেলায়। পুরো মেলা প্রাঙ্গণেই দর্শনার্থীদের আনাগোনা।

শিশু চত্বরও শিশুদের কলকাকলিতে মুখরিত ছিল।

শুক্রবার (১০ ফেব্রুয়ারি) মেলা শুরু হয় বেলা ১১টায়। মেলা শুরু হওয়ার পর থেকে দর্শনার্থী ও পাঠকের সংখ্যা কিছুটা কম দেখা গেছে।

তবে দুপুরের পর থেকে বাড়তে থাকে মানুষের উপস্থিতি। বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যা নামতেই জনারণ্যে পরিণত হয় বাংলা একাডেমি ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যান। বইমেলার প্রবেশ মুখেও দেখা গেছে লম্বা লাইন।

বইপ্রেমীদের আনাগোনা আর ঘোরাফেরায় মুখরিত হয়ে ওঠে মেলা প্রাঙ্গণ। কেউ বই কিনছেন, কেউ হাতে নিয়ে দেখছেন আবার কেউবা প্রিয় লেখকের বই কবে আসবে খোঁজ নিচ্ছেন। বরাবরের মতো অনন্যা, কাকলী, তাম্রলিপি, প্রথমা, পাঞ্জেরি প্রকাশনীর প্যাভিলিয়নগুলো ছিল ক্রেতাদের প্রধান আকর্ষণ।

বিভিন্ন প্রকাশনীর বিক্রয়কর্মীরা জানান, ছুটির দিন বিবেচনায় দর্শনার্থী ও পাঠকের চাহিদা মেটাতে প্যাভিলিয়ন ও স্টলে যথেষ্ট বই মজুদ রাখাসহ সব প্রস্তুতি রয়েছে। তবে দুপুর পর্যন্ত মেলায় আসা দর্শনার্থীর সংখ্যা ছিল হাতেগোনা। বিকেল থেকে মানুষের উপস্থিতি বেড়েছে।

অন্বেষা প্রকাশনীর বিক্রেতা স্বপন ইসলাম বলেন, অন্যান্য দিনের তুলনায় আজ দর্শনার্থীর সংখ্যা অনেক বেশি। বইও বিক্রি হচ্ছে বেশ ভালো। প্রতিদিন যেখানে একটু বসে থাকার সুযোগ পাই, সেখানে আজ কোনো ফুসরত নেই।

বই মেলায় ঘুরতে আসা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সানজিদা আফরিন সৃষ্টি বলেন, আমি প্রায় প্রতিদিনই মেলায় আসি। আজ মানুষের ভিড়ে পা ফেলার জায়গা নেই। কিছুটা বিরক্তও লাগছে। তবে আমেজ ফেরায় ভালোও লাগছে।

কাকলী প্রকাশনীর স্টল ইনচার্জ রেজাউল করিম বলেন, এবারের মেলায় প্রতিদিনই মোটামুটি ভালো ক্রেতা ছিল। করোনার পর এটা আমাদের জন্য ভালো দিক। তবে আজ ক্রেতা অনেক বেশি। আমরাও সেভাবে প্রস্তুত ছিলাম।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১০, ২০২৩
এইচএমএস/জেডএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।