ঢাকা, মঙ্গলবার, ৯ পৌষ ১৪৩১, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

সাংস্কৃতিক সংগঠনের কার্যালয় ভাঙার প্রতিবাদে মানববন্ধন

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮০১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১১, ২০২৩
সাংস্কৃতিক সংগঠনের কার্যালয় ভাঙার প্রতিবাদে মানববন্ধন

বরিশাল: বরিশালে সাংস্কৃতিক সংগঠন পঞ্চসিঁড়ি গ্রুপ থিয়েটারের কার্যালয় ভেঙে ফেলার প্রতিবাদে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শনিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) বরিশার নগরের অশ্বিনী কুমার হলের সামনের সড়কে মানববন্ধন করে বেশ কয়েকটি সাংস্কৃতিক সংগঠন।

মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারী সংস্কৃতিকর্মীরা আগামী ২১ ফেব্রুয়ারির মধ্যে পঞ্চসিঁড়ি গ্রুপ থিয়েটারের কার্যালয় পূর্বের অবস্থানে ফিরিয়ে না দিলে বৃহত্তর কর্মসূচির হুঁশিয়ারি দেন।

পঞ্চসিঁড়ি গ্রপ থিয়েটারের সম্পাদক মিজানুর রহমান বলেন, বিগত ৪০ বছর ধরে বরিশাল নগরের বিউটি রোড সংলগ্ন পুরনো একটি ভবনে তৎকালীন জেলা প্রশাসক এম এ আজিজের মৌখিক অনুমতি নিয়ে নাট্যসংগঠন পঞ্চসিঁড়ি গ্রপ থিয়েটার কার্যক্রম চালিয়ে আসছিল। একই ভবনের পাশের কক্ষে জেলা পুলিশের আওতাধীন কোর্ট পুলিশের সদস্যরা থাকতেন। ভবনটি জরাজীর্ণ হয়ে পড়ায় পুলিশের পক্ষ থেকে সংস্কারের নামে আমাদের উচ্ছেদ করা হয়। পুরনো ছাদ ও আমাদের দরজা আমাদের অগোচরে গত ২৮ নভেম্বর ভেঙে ফেলা হলে সংস্কৃতিকর্মীরা প্রতিবাদ জানান।  পরবর্তীতে পুলিশের সঙ্গে আলোচনায় কার্যালয়টি করে দেওয়ার আশ্বাস দিলেও এখনো তা করে না দেওয়ায় সংস্কৃতিকর্মীরা নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলনে নেমেছেন।

মানববন্ধনে বরিশাল সাংস্কৃতিক সংগঠন সমন্বয় পরিষদের সভাপতি নাজমুল হোসেন আকাশ বলেন, আমরা বার বার এই সমস্যা নিরসনের কথা বললেও তারা কার্যকর উদ্যোগ নেয়নি। আমরা মনে করি  জেলা পুলিশ প্রশাসন যেভাবে কার্যালয়টি ভেঙে ফেলেছে তা সংস্কৃতির ওপর আঘাত।

বাংলাদেশ গ্রপ থিয়েটার ফেডারেশনের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শুভংকর চক্রবর্তী বলেন, আমাদের রাজপথে নামতে বাধ্য করবেন না। ২১ ফেব্রুয়ারির মধ্যে  পঞ্চসিঁড়ি গ্রপ থিয়েটারকে তাদের কার্যালয় ফিরিয়ে দিতে হবে। না হলে বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে জেলা পুলিশ সুপার ওয়াহিদুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, এখানে একটি পুলিশি ব্যারাকের জন্য কার্যালয় সংস্কার হচ্ছে। গণপূর্ত বিভাগের কাছে আমরা অনুমতি নিয়ে এখানে কাজ চালিয়ে যাচ্ছি।

বিক্ষুব্ধ সংস্কৃতিকর্মীরা বলেন, মুখে তারা এই নাট্যসংগঠনের জন্য জায়গা দেওয়ার কথা বললেও পুরো এলাকা দেয়াল দিয়ে ঘিরে কোর্ট পুলিশ ব্যারাক লিখে রেখেছে। সেখানে কাউকেই ঢুকতে দিচ্ছে না। আমাদের আসবাবপত্র, আলমারি, হারমোনিয়াম ভাঙা অবস্থায় পড়ে রয়েছে। আমরা মনে করি ওখান থেকে আমাদের উচ্ছেদ করা হয়েছে।

গণপূর্ত বিভাগের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মানিক লাল দাস বলেন, গণপূর্ত বিভাগ এখানে পুলিশি ব্যারাকের জন্য কাউকেই কোনো অনুমতি দেয়নি। কোনো সম্পত্তি থেকে কাউকে উচ্ছেদ করতে জেলা প্রশাসনের অনুমতি প্রয়োজন, তার আগে নোটিশ দিতে হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৮০০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১১, ২০২৩
এমএস/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।