বাগেরহাট: লেখাপড়ার গুরুত্ব এবং অভিভাবকদের সচেতনতা বাড়াতে পারলে শিশু শ্রম অনেকাংশে কমিয়ে আনা সম্ভব।
সোমবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা উদয়ন বাংলাদেশ এবং ইনসিডিন বাংলাদেশের যৌথ আয়োজনে কৃষি ক্ষেত্রে শিশু শ্রম নিরসন শীর্ষক মতবিনিময় সভায় বক্তারা এ কথা বলেন।
বক্তারা বলেন, আজকের শিশু আগামী দিনের ভবিষ্যৎ। এ শিশুরাই আগামী দিনে জাতির নেতৃত্ব দেবে। জাতিকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। কিন্তু অভিভাবকরা সচেতনতার অভাবে সামান্য টাকার জন্য সন্তানদের কঠিন কাজের সঙ্গে যুক্ত করে দেন। এর ফলে শিশুদের জীবন নষ্ট হয়ে যায়। লেখাপড়ার গুরুত্ব এবং অভিভাবকদের সচেতনতা বৃদ্ধি করতে পারলে শিশু শ্রম অনেকাংশে কমিয়ে আনা সম্ভব।
বক্তারা আরও বলেন, একটা শিশু যখন কোনো কাজে অংশ নেয়, তখন তাকে অন্যান্য শ্রমিকের থেকে কম বেতন দেওয়া হয়। একটা শিশু দৈনিক কাজ করলে ৫০ থেকে ৩০০ টাকা পায়। এ টাকায় তার বা তার পরিবারের তেমন কোনো উপকার হয় না। এর পরেও শিশুরা কঠোর পরিশ্রম করে যাচ্ছে। অতিদ্রুত এ শিশুশ্রম নিরসন করা প্রয়োজন।
বাগেরহাট শহরের উদয়ন বাংলাদেশ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় বক্তব্য দেন, বাগেরহাট জেলা শিশু কর্মকর্তা শেখ আছাদুর রহমান, উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা সুমিতাই ইয়াসমিন, শহর সমাজসেবা কর্মকর্তা এসএম নাজমুস সাকিব, উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা এসএম আজগর আলী, বাগেরহাট জাতীয় মহিলা সংস্থার চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট শরিফা খানম, উদয়ন বাংলাদেশের পরিচালক ইসরাত জাহান ও ইনসিডিন বাংলাদেশের ক্যাম্পেইন কো-অর্ডিনেটর রাফিউল আলী রানা। মতবিনিময় সভায় আইনজীবী, গণমাধ্যমকর্মী, এনজিও প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৫০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০২৩
এসআইএ