ঢাকা: শ্বশুর-শ্বাশুড়ি ও স্ত্রীকে ফাঁসাতে আত্মগোপনে থাকার ছক কষেন মাসুম বিল্লাহ (২৭) নামে এক যুবক। এমনকি মাকে দিয়ে খুন করে লাশ গুমের মামলাও দায়ের করান।
তবে শেষ রক্ষা হয়নি মাসুম বিল্লাহর। মামলার তদন্তে বেরিয়ে আসে আত্মগোপনের রহস্য। রাজধানীর ডেমরা এলাকা থেকে তাকে উদ্ধার করে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
মঙ্গলবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) তাকে উদ্ধারের বিষয়টি জানান সিআইডি প্রধান মোহাম্মদ আলী মিয়া।
সিআইডি জানায়, কুলসুম বেগম ছেলের স্ত্রী-শ্বশুর ও শাশুড়ির বিরুদ্ধে পটুয়াখালী আদালতে একটি অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগে বলা হয়, ছেলে মাসুম বিল্লাহকে (২৭) তার স্ত্রী, শ্বশুর ও শাশুড়ি অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করেছে। এর প্রেক্ষিতে গত বছরের ১৭ জানুয়ারি পটুয়াখালী জেলার কলাপাড়া আমলী আদালতে একটি মামলা দায়ের করা হয়।
এর প্রেক্ষিতে ঘটনার রহস্য উদঘাটনের ছায়া তদন্ত শুরু করে সিআইডি। মামলার বাদীসহ পরিবারের অন্যদের ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে মাসুম বিল্লাহকে হত্যা ও গুমের বিষয়ের সন্দেহের সৃষ্টি হয়।
এরমধ্যে জানা যায়, মাসুমের শ্বশুর মাসুম, তার মা ও বাবার বিরুদ্ধে একই আদালতে গত বছরের ১২ জানুয়ারি একটি মামলা দায়ের করেছিল। তদন্তের ধারাবাহিকতায় তথ্য-প্রযুক্তির সহায়তায় ডেমরা এলাকা মাসুম বিল্লাহকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করে সিআইডি।
মাসুম প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বেচ্ছায় আত্মগোপনে থাকার বিষয়টি স্বীকার করেছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদের ভিত্তিতে সিআইডি জানায়, তার শ্বশুর তাকে সহ তার বাবা-মার বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগে একটা মামলা দায়ের করে। মামলাটি আদালতের নির্দেশে মহিপুর থানা পুলিশ তদন্ত করে সত্যতা পায়।
এর প্রেক্ষিতে পলাতক মাসুমের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন। মাসুম শ্বশুরের দায়েরকৃত মামলার দায় থেকে অব্যাহতি পেতে এবং প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করতে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে পরামর্শ করে আত্মগোপনে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। যার ভিত্তিতে তার মা কুলসুম বেগমকে বাদি করে শ্বশুর, শাশুড়ি এবং স্ত্রীর বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করান।
মাসুমের মায়ের করা মামলাটি সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট ও প্রতিহিংসা মূলক বলে প্রমাণিত হয়েছে। এ অবস্থায় মাসুমকে আদালতে পাঠানোর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলেও জানায় সিআইডি।
বাংলাদেশ সময়: ০৭২৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৫, ২০২৩
পিএম/এসএ