ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

আশ্রয় শিবিরে মিলল রোহিঙ্গা যুবকের মরদেহ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৪৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২১, ২০২৩
আশ্রয় শিবিরে মিলল রোহিঙ্গা যুবকের মরদেহ

কক্সবাজার: কক্সবাজারের উখিয়ায় আশ্রয় শিবির থেকে এক রোহিঙ্গার মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

পুলিশের ধারণা, দাম্পত্য কলহের জেরে গলায় ফাঁস লাগিয়ে বা শ্বাসরোধ করে এ হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছে।

মঙ্গলবার (২১ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১১টার দিকে উপজেলার কুতুপালং ১-ইস্ট নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ই-৪ ব্লকের একটি বসতঘর থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়েছে।  

রোহিঙ্গা শিবিরে নিরাপত্তায় নিয়োজিত ১৪ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) অধিনায়ক অতিরিক্ত উপ-মহাপরিদর্শক (এডিআইজি) ছৈয়দ হারুনুর রশিদ বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

নিহত মোহাম্মদ ইলিয়াছ (২৮) উখিয়ার কুতুপালং ১-ইস্ট নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ই-৪ ব্লকের বাসিন্দা মামুন রশিদের ছেলে।

এডিআইজি ছৈয়দ হারুনুর রশিদ বলেন, মঙ্গলবার সকালে উখিয়ার কুতুপালং ১-ইস্ট নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ই-৪ ব্লকে জনৈক ইলিয়াছের বসতঘরে এক ব্যক্তির মরদেহ পড়ে থাকার খবরে এপিবিএনের একটি দল অভিযান চালায়। এতে ঘরের মেঝেতে পড়ে থাকা অবস্থায় মোহাম্মদ ইলিয়াছ নামের এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করে। মরদেহ উদ্ধারের সময় ঘরটিতে কোনো লোকজন ছিল না। নিহতের গলায় রশি জাতীয় কিছু একটার আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, রশি দিয়ে মোহাম্মদ ইলিয়াছ নিজেই গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছে অথবা দাম্পত্য কলহের জেরে কেউ তাকে খুন করে থাকতে পারে।

স্থানীয়দের বরাতে এপিবিএনের এ কর্মকর্তা বলেন, মোহাম্মদ ইলিয়াছের দুই স্ত্রী ও সন্তান-সন্ততি রয়েছে। সম্প্রতি তাদের মধ্যে দাম্পত্য কলহ চরম আকার ধারণ করে। ধারণা করা হচ্ছে, দাম্পত্য কলহের জেরে তিনি খুন হয়ে থাকতে পারেন।

ছৈয়দ হারুনুর রশিদ জানান, মোহাম্মদ ইলিয়াছের মৃত্যুর কারণটা রহস্যজনক। এটা আত্মহত্যা নাকি পরিকল্পিত হত্যা তা তদন্তের পর নিশ্চিত হওয়া যাবে।

নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে বলে জানান তিনি।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২১, ২০২৩
এসবি/এসএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।