ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২২ কার্তিক ১৪৩১, ০৭ নভেম্বর ২০২৪, ০৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব: ৩ বন্দরসহ নৌখাত রক্ষার দাবি জাতীয় কমিটির

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৫৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২২, ২০২৩
জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব: ৩ বন্দরসহ নৌখাত রক্ষার দাবি জাতীয় কমিটির প্রতীকী ছবি

ঢাকা: বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব থেকে তিনটি আন্তর্জাতিক সমুদ্রবন্দরসহ নৌ যোগাযোগ ব্যবস্থাকে রক্ষায় আগাম কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে নৌ, সড়ক ও রেলপথ রক্ষা জাতীয় কমিটি।  

একইসঙ্গে সুন্দরবনাঞ্চলসহ সমগ্র উপকূলীয় জনপদকে পরিকল্পিত উন্নয়নের আওতায় এনে এই অভিঘাত থেকে রক্ষার দাবি জানিয়েছে নাগরিক সংগঠনটি।

বুধবার (২২ ফেব্রুয়ারি) গণমাধ্যমে পাঠানো এক যুক্ত বিবৃতিতে সংগঠনের সভাপতি হাজি মো. শহীদ মিয়া ও সাধারণ সম্পাদক আশীষ কুমার দে সরকারসহ সংশ্লিষ্ট সব মহলের প্রতি এই আহ্বান জানান।   

বিবৃতিতে বলা হয়, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বাংলাদেশসহ বঙ্গোপসাগরীয় দেশগুলোর সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা আশঙ্কাজনকভাবে বাড়ছে। এছাড়া প্রতি বছর নদীবাহিত বিপুল পরিমাণ পলি জমে চট্টগ্রাম, মংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরের চ্যানেলগুলোতে মারাত্মক নাব্য সৃষ্টি হচ্ছে। এতে বন্দরগুলোর সক্ষমতা ধীরে ধীরে হ্রাস পাচ্ছে এবং অভ্যন্তরীণ ও উপকূলীয় নৌ চলাচল ব্যবস্থা সংকুচিত হয়ে আসছে। সেই সঙ্গে সুন্দরবনাঞ্চলসহ সমগ্র উপকূলীয় জনপদে নদীভাঙন ও ভূমিক্ষয় তীব্র আকার ধারণ করছে। এর ফলে হুমকির মুখে পড়ছে উপকূলীয় জনজীবন।
 
দেশীয় ও আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞদের বরাত দিয়ে বিবৃতিতে বলা হয়, পরিস্থিতি অপরিবর্তিত থাকলে ২০৩০ সাল নাগাদ চট্টগ্রাম, মংলা ও পায়রা আন্তর্জাতিক সমুদ্রবন্দরের সক্ষমতা হারাবে এবং অভ্যন্তরীণ ও উপকূলীয় নৌ যোগাযোগ ব্যবস্থা মুখ থুবড়ে পড়বে। যেহেতু বাংলাদেশের আমদানি-রফতানি বাণিজ্যের ৯০ শতাংশ এসব বন্দরের ওপর নির্ভরশীল, সেহেতু তীব্র সংকটে পড়বে বাণিজ্যখাত।    

বিবৃতিতে মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্রবন্দরের নির্মাণকাজ দ্রুত সম্পন্নের তাগিদ দিয়ে নৌ, সড়ক ও রেলপথ রক্ষা জাতীয় কমিটির নেতারা বলেন, আমদানি-রফতানি বাণিজ্যখাত সচল রাখতে নিকটভবিষ্যতে গভীর সমুদ্রবন্দরের বিকল্প থাকবে না। সেই সঙ্গে নৌ চ্যানেলগুলোতে পরিকল্পিত ও দীর্ঘমেয়াদী ড্রেজিং শুরু এবং উপকূল রক্ষায় বাস্তবসম্মত পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানানো হয় বিবৃতিতে।  

বাংলাদেশ সময়: ১৩৫৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২২, ২০২৩
টিএ/এসএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।