ঢাকা, শনিবার, ২৮ বৈশাখ ১৪৩১, ১১ মে ২০২৪, ০২ জিলকদ ১৪৪৫

জাতীয়

দাবি পূরণ না হলে ৬ মার্চ থেকে ঢাকায় অবস্থান কর্মসূচি

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬২৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২২, ২০২৩
দাবি পূরণ না হলে ৬ মার্চ থেকে ঢাকায় অবস্থান কর্মসূচি

নীলফামারী: জাতীয়করণের দাবিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছে স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদরাসা শিক্ষক ঐক্যজোটের নীলফামারী জেলা ইউনিটের নেতারা।  

দাবি পূরণ না হলে ৬ মার্চ থেকে ঢাকায় লাগাতার অবস্থান কর্মসূচির ঘোষণাও দিয়েছেন তারা।

বুধবার (২২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে জেলা প্রশাসক পঙ্কজ ঘোষের কাছে এই স্মারকলিপি হস্তান্তর করেন ঐক্যজোটের নেতারা।  

এ সময় সংগঠনের জেলা সভাপতি কাজী আবু মুসা ভুইয়াসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন। এর আগে জেলা শহরের বঙ্গবন্ধু চত্বরে মানববন্ধন সমাবেশে মিলিত হন জেলার বিভিন্ন মাদরাসার তিন শতাধিক শিক্ষক।

এতে স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদরাসা শিক্ষক ঐক্যজোট নীলফামারী জেলা ইউনিটের সভাপতি কাজী আবু মুসা ভুইয়া বলেন, আমরা প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোর মতই সরকারি দায়িত্ব যথাযথ পালন করে আসছি। অথচ আমাদের মূল্য নেই। ২০১৮ সালের জানুয়ারি মাসে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আমরা অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছিলাম। সে সময়ে সরকারের পক্ষ থেকে আমাদের দাবি মেনে নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তা আজও আলোর মুখ দেখেনি।

তিনি বলেন, সারাদেশে দেড় হাজারেরও বেশি প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এসব মাদরাসার শিক্ষকরা কেউ ২৩০০ আবার কেউ ২৫০০ টাকা পাচ্ছেন। এভাবে সংসার চালানো অসম্ভব হয়ে দাঁড়িয়েছে। এজন্য প্রধানমন্ত্রীর প্রতি আমাদের আহ্বান বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোর মতো আমাদের মাদরাসাগুলোও জাতীয়করণের ঘোষণা দেবেন।

আবু মুসা বলেন, আগামী ৫ মার্চের মধ্যে আমাদের দাবি বাস্তবায়ন না হলে ৬ মার্চ থেকে পরিবার-পরিজন নিয়ে আমরা ঢাকায় লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি পালন করব।


মানব বন্ধনে আরও বক্তব্য রাখেন আজাহারুল ইসলাম, রবিউল ইসলাম, আবুল হোসেন, তরিকুল ইসলাম, মিজানুর রহমান, আব্দুল গণি, রফিকুল ইসলাম, বদরুল আলম, আবু বক্কর সিদ্দিক প্রমুখ।

বক্তারা উল্লেখ করেন, নিবন্ধিত হওয়ার পর শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিধি মোতাবেক প্রতিষ্ঠানগুলো পরিচালিত হয়ে আসছে। ১৯৯৪ সালে এসব মাদরাসা এবং বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোর শিক্ষকদের ৫০০ টাকা বেতন নির্ধারণ করা হয়। কিন্তু ২০১৩ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো জাতীয়করণ করেন। কিন্তু ইবতেদায়ি মাদরাসাগুলো জাতীয়করণ থেকে বঞ্চিত হয়।
এসব মাদরাসার শিক্ষকরা ন্যূনতম বেতনে পাঠদান করাচ্ছেন। এই বেতনে পরিবার পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন মাদরাসা সংশ্লিষ্টরা।

বাংলাদেশ সময়: ১৬২০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২২, ২০২৩
এসএএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।