ঢাকা, সোমবার, ১৭ আষাঢ় ১৪৩১, ০১ জুলাই ২০২৪, ২৩ জিলহজ ১৪৪৫

জাতীয়

বসিলা থেকে ‘কাইজ্যা পার্টির’ ২ সদস্য গ্রেফতার

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮০৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৪, ২০২৩
বসিলা থেকে ‘কাইজ্যা পার্টির’ ২ সদস্য গ্রেফতার

ঢাকা: প্রতারণা করে মালামাল হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে সাইদুর রহমান হাওলাদার ও  মো. মোর্শেদ (৫০) নামে দুই জনকে গ্রেফতার করেছে মিরপুর থানার পুলিশ। বৃহস্পতিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) দিনগত রাতে মোহাম্মদপুরে বসিলা এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়, তারা ‘কাইজ্যা পার্টি’ নামেই পরিচিত।

শুক্রবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) বিকেলের এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন মিরপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহসীন।

তিনি জানান, গ্রেফতার দুইজন প্রতারক ও ‘কাইজ্যা পার্টির’ সদস্য। তাদের কয়েকজন প্রথমে রিকশায় থাকা যাত্রীদের সঙ্গে ইচ্ছাকৃতভাবে ঝগড়া বাধায়। সেই সুযোগে আরেকজন রিকশায় থাকা মালামাল নিয়ে পালিয়ে যায়। সাইদুর এই গ্রুপের প্রধান। তাদের কাছ থেকে লুট করা চার লাখ টাকারও বেশি মূল্যের মেডিকেল মেশিন এবং দুই  টাকারও বেশি মূল্যের  কসমেটিকস সামগ্রী উদ্ধার করা হয়েছে।

তিনি আরও জানান, গত ২০ ফেব্রুয়ারি মিরপুর-১০ থেকে মহিউদ্দিন নামে এক ব্যক্তি দুটি মেডিকেল মেশিন নিয়ে গন্তব্যে যাওয়ার জন্য অপেক্ষা করছিলেন। এসময় রিকশা নিয়ে হাজির হন সাইদুর। শেওড়াপাড়া আসার জন্য উঠে কিছু দূর যাওয়ার পর রিকশা নষ্ট হয়েছে জানিয়ে কিছু দূর হাঁটতে বলেন মহিউদ্দিনকে। তিনি কিছুদূর যেতেই সেখানে আগে থেকেই ওঁৎ পেতে থাকা ২/৩ জন ইচ্ছাকৃতভাবে ঝগড়া লাগিয়ে দেন তার সঙ্গে। সেই সুযোগে মালামালসহ রিকশা নিয়ে পালিয়ে যান সাইদুর। পরে থানায় অভিযোগ করলে বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) দিনগত রাতে জড়িত দুইজনকে মোহাম্মদপুর থানার বসিলা এলাকা গ্রেফতার করা হয়। পরে তাদের দেওয়া স্বীকারোক্তি মোতাবেক কেরাণীগঞ্জের শহীদনগর এলাকা মেডিকেল যন্ত্রাংশ এবং কসমেটিকস সামগ্রী উদ্ধার করা হয়।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতাররা জানিয়েছে, তাদের গ্রুপে ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জের ৭ থেকে ৮ জন সদস্য আছে। তারা কয়েক ভাগে ভাগ হয়ে এই কাজ করেন। তাদের মধ্যে এক দল থাকে হাঁটাওয়ালা। তারা টার্গেট করা যাত্রীর সঙ্গে ইচ্ছাকৃতভাবে ঝগড়া লাগায়। একজন মাদলিওয়ালা, তিনি রিকশা চালান, রিকশা নিয়ে পালিয়ে যান। সাইদুর এই দলের মাদলিওয়ালা। আরেক দল পল্টিওয়ালা। যখন কোনো যাত্রী ওই রিকশা খুঁজতে থাকেন তখন এই দল উল্টো রাস্তা দেখিয়ে দেন। মালামাল হাতিয়ে দেওয়ার পর সেই টাকার ৭০ শতাংশ সবাই সমানভাগে নেন। অতিরিক্ত ২০ শতাংশ পান মাদলিওয়ালা এবং ১০ শতাংশ পান হাঁটাওয়ালা।

তারা ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জে প্রায় দুই বছর ধরে তারা এই কাজ করছেন। তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ওসি মোহাম্মদ মহসীন।

বাংলাদেশ সময়: ১৮০৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৪, ২০২৩
এজেডএস/এমএমজেড

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।