ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

উদ্বোধনের অপেক্ষায় এক্সপ্রেসওয়ের বিমানবন্দর-বনানী অংশ

নিশাত বিজয়, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৪৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০২৩
উদ্বোধনের অপেক্ষায় এক্সপ্রেসওয়ের বিমানবন্দর-বনানী অংশ

ঢাকা: ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের জন্য এক যুগের অপেক্ষার অবসান হচ্ছে। ২০১১ সালে শুরু হওয়া ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের প্রথম অংশের (কাওলা-তেজগাঁও) নির্মাণকাজের ৯৩ শতাংশ সম্পন্ন হয়েছে।

বিমানবন্দর থেকে বনানী পর্যন্ত প্রথম অংশের প্রায় ৭ দশমিক ৪৫ কিলোমিটার রাস্তার কার্পেটিং ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে। এখন এই অংশের সঙ্গে সম্পৃক্ত সংযোগ সড়কের কার্পেটিং সম্পন্ন হলেই যানবাহন চলাচলের জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত হবে।

খুব দ্রুতই ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের এই অংশ উদ্বোধন করে যানবাহন চলাচলের জন্যে উন্মুক্ত করে দেবে কর্তৃপক্ষ।

শনিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) বাংলানিউজের এই প্রতিবেদকের সঙ্গে বিস্তারিত আলাপ করেছেন ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের প্রকল্প পরিচালক এ এইচ এম এস আকতার।

তিনি বলেন, রাজধানীর আশেপাশে যানবাহন চলাচল সহজ করার লক্ষ্যে পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপের (পিপিপি) আওতায় চার লেনের ১৯ দশমিক ৭৩ কিলোমিটার এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মিত হচ্ছে। এই এক্সপ্রেসওয়ের মোট দৈর্ঘ্য ৪৬ দশমিক ৭৩ কিলোমিটার। এটির র‌্যাম্প রয়েছে ৩১টি।

রাজধানীকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের (কুতুবখালী) সঙ্গে যুক্ত করতে সরকার এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্প হাতে নিয়েছে বলে জানান প্রকল্পটির পরিচালক।

তিনি বলেন, শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের দক্ষিণ পাশ থেকে বনানী রেলস্টেশন পর্যন্ত ৭ দশমিক ৪৫ কিলোমিটারের প্রথম অংশের কাজ শেষ পর্যায়ে। ইতোমধ্যে মূল কাজ শেষ হয়েছে। অগ্রগতি ৯৩ শতাংশ, শেষ মুহূর্তের ফিনিশিংয়ের কাজ দ্রুত গতিতে চলছে।

কাজ শেষ করে শাহজালাল বিমানবন্দরের দক্ষিণ পাশ থেকে বনানী রেলস্টেশন পর্যন্ত অংশের উদ্বোধন করা হবে বলে জানিয়েছেন প্রকল্প পরিচালক।

দ্বিতীয় ধাপের কাজ চলছে বনানী রেলওয়ে স্টেশন থেকে মগবাজার রেলক্রসসিং পর্যন্ত, এই অংশের কাজের অগ্রগতি ৪৭ শতাংশ বলে জানান তিনি।  

এ এইচ এম এস আকতার আরও বলেন, আমরা মগবাজার রেলক্রসিং থেকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুতুবখালী পর্যন্ত তৃতীয় ধাপের ৬ দশমিক ৪৩ কিলোমিটার এক্সপ্রেসওয়ের নির্মাণকাজও দ্রুত এগিয়ে নিচ্ছি।

এক্সপ্রেসওয়ের প্রথম অংশের কাজ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এরই মধ্যে রাস্তার বাতি বসানোর কাজ শুরু করা হয়েছে। রাস্তার দুই পাশে রেলিং বসানোর কাজও চলছে। কয়েক দিনের মধ্যে কাওলা থেকে বনানী অংশ পুরোপুরি প্রস্তুত হয়ে যাবে।

এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্প থেকে বিনিয়োগকারীরা তাদের অর্থ তুলবে যানবাহন থেকে টোল আদায়ের মাধ্যমে। এজন্য তারা পৃথক টোল প্লাজা স্থাপন করবে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

২০১১ সালের ১৯ জানুয়ারি এ প্রকল্পের প্রথম চুক্তি স্বাক্ষর করা হয়। এই প্রকল্পের মেয়াদ ধরা হয়েছে ২০১১ সালের জুলাই থেকে ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত। প্রকল্পটির জন্য ব্যয় ধরা হয়েছে ৮ হাজার ৯৪০ কোটি টাকা, যার মধ্যে বাংলাদেশ সরকার দিচ্ছে ২ হাজার ৪১৩ কোটি টাকা।

ফার্স্ট ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে (এফডিইই) কোম্পানি লিমিটেড এ প্রকল্পে বিনিয়োগ করছে। ইতালিয়ান থাই ডেভেলপমেন্ট পাবলিক কোম্পানি লিমিটেডের ৫১ শতাংশ, চায়না শানডং ইন্টারন্যাশনাল ইকোনমিক অ্যান্ড টেকনিক্যাল কো-অপারেশন গ্রুপের (সিএসআই) ৩৪ শতাংশ এবং  সিনোহাইড্রো কর্পোরেশন লিমিটেডের ১৫ শতাংশ শেয়ার নিয়ে গঠিত হয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৪২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০২৩  
এনবি/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।