ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

কৃষকের বাজার সম্প্রসারণের আহ্বান

সিনিয়র করসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৪৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৬, ২০২৩
কৃষকের বাজার সম্প্রসারণের আহ্বান

ঢাকা: কৃষক ও ভোক্তা উভয়ের স্বার্থে কৃষকের বাজারগুলো স্থায়ী করার পাশাপাশি বাজারের সংখ্যা বাড়াতে হবে। এজন্য সিটি কর্পোরেশনে একটি পৃথক ডেস্ক চালু করতে হবে।

ঢাকা মহানগরীর কৃষকের বাজার স্থায়ীকরণের কৌশল নিরূপণে আয়োজিত মেট্রোপলিটন লেভেল স্ট্র্যাটেজিক কর্মশালায় বক্তারা এ কথা বলেন।

রোববার (২৬ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর একটি হোটেলে স্থানীয় সরকার বিভাগের যুগ্ম-সচিব নুমেরী জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কর্মশালাটি সঞ্চালনা করেন ওয়ার্ক ফর এ বেটার বাংলাদেশ (ডব্লিউবিবি) ট্রাস্টের সিনিয়র প্রজেক্ট ম্যানেজার জিয়াউর রহমান।

এতে বক্তব্য রাখেন, স্থানীয় সরকার বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মুস্তাকীম বিল্লাহ ফারুকী ও উপ-সচিব মো. মুস্তাফিজুর রহমান, ডব্লিউবিবি ট্রাস্টের পরিচালক গাউস পিয়ারী, জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার ঢাকা ফুড সিস্টেম প্রকল্পের ফুড সিস্টেম পলিসি ইকোনমিস্ট পেদ্রো আন্দ্রেস গার্জন ডেলভো, ন্যাশনাল প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর জয়নাল আবেদীন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা বাবর আলী মীর, গাজীপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক সাইফুল ইসলাম, নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ১৫ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর অসিত বরণ বিশ্বাস, ডিএসসিসির ৩৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর রোকনউদ্দিন আহমেদ। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ডব্লিউবিবি ট্রাস্টের প্রজেক্ট ম্যানেজার নাঈমা আকতার।

মুস্তাকীম বিল্লাহ ফারুকী বলেন, কৃষকের বাজারে নিরাপদ পণ্য নিশ্চিত করতে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরকে সচেষ্ট হতে হবে। বাজারগুলো টেকসই করে তুলতে কাউন্সিলরদের ওয়ার্ড কমিটির সভায় এ বিষয়টি থাকতে হবে। এক বছরের জন্য বাজারগুলো চলমান রাখতে একটি সুনির্দিষ্ট বাজেটের জন্য সিটি কর্পোরেশনের কাছে সুপারিশ করা যেতে পারে। তারপর কৃষকদের পণ্যের দামের সাথে পরিবহন খরচটি ধরে কৃষকদের মাধ্যমেই পরিবহন খরচ ব্যয় করতে হবে।

যুগ্ম-সচিব নুমেরী জামান বলেন, নগর উন্নয়ন অধিদপ্তরের আওতায় কৃষকের বাজারের জন্য একটি পৃথক ডেস্ক নিশ্চিতের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এটি খুব দ্রুত কার্যকর হবে। যখন ডেস্ক তৈরি হবে তখন বাজেটও বরাদ্দ হবে। প্রকল্প শেষ হয়ে গেলেও কৃষকের বাজারের কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।

পেদ্রো আন্দ্রেস গার্জন ডেলভো বলেন, অধিকাংশ কৃষক এবং ভোক্তা কৃষকের বাজার চলমান রাখার বিষয়ে আগ্রহী। ঢাকা ফুড সিস্টেম প্রকল্প থেকে আমরা একটি ব্যতিক্রমী বাজারের সূচনা করেছি, যার মাধ্যমে নিরাপদ খাদ্য পৌঁছে দেওয়ার পাশাপাশি পরিবেশের ওপরও ইতিবাচক প্রভাব রাখা সম্ভব হয়েছে।

জয়নাল আবেদীন বলেন, চারটি সিটি কর্পোরেশনে অভিজ্ঞতা বিনিময় কর্মশালা থেকে আমরা ১৬টি কৃষকের বাজার টেকসই করার বিষয়ে বিভিন্ন সুপারিশ পেয়েছি। সেই সুপারিশগুলোর ওপর ভিত্তি করে কৃষকের বাজার টেকসই করার কৌশল নিরূপণই আজকের সভার মূল উদ্দেশ্য।

ডব্লিউবিবি ট্রাস্টের গাউস পিয়ারী বলেন, কৃষকের বাজারের মাধ্যমে স্বল্প পরিসরে হলেও জনগণের কাছে নিরাপদ খাদ্য পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হয়েছে। এ কার্যক্রমটি আরও বিস্তৃত করার মাধ্যমে জনস্বাস্থ্য উন্নয়ন করা যেতে পারে।

কর্মশালায় আরও অংশ নেন ডিএনসিসির ১৯ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর আবুল বাশার, গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের ৫৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর নাসির উদ্দিন মোল্লা, ডিএনসিসির ফুড সিস্টেম সিটি কো-অর্ডিনেটর মো. নজরুল ইসলাম, ডিএনসিসির ফুড সিস্টেম সিটি কো-অর্ডিনেটর শরীফা পারভীন, গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের ফুড সিস্টেম সিটি কো-অর্ডিনেটর শহীদুল ইসলাম, নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ফুড সিস্টেম সিটি কো-অর্ডিনেটর মো. আনোয়ারুল ইসলাম।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৬, ২০২৩
টিএ/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।