ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

স্কুলছাত্রী ধর্ষণ মামলায় এক ব্যক্তির যাবজ্জীবন

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০১৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৮, ২০২৩
স্কুলছাত্রী ধর্ষণ মামলায় এক ব্যক্তির যাবজ্জীবন

বরিশাল: বরিশালে স্কুলছাত্রী ধর্ষণ মামলায় জসিম হাওলাদার নামে এক ব্যক্তিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। পাশাপাশি তাকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ছয়মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) বরিশালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. ইয়ারব হোসেন এ রায় দেন। তবে ধর্ষণে সহায়তার অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় আরেকজনকে খালাস দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ট্রাইব্যুনালের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট ফয়জুল হক ফয়েজ।

দণ্ডপ্রাপ্ত জসিম হাওলাদার বরিশাল সদর উপজেলার কর্ণকাঠি গ্রামের শাহজাহান হাওলাদারের ছেলে।

মামলা হওয়ার ১১ বছর পর রায় ঘোষণা করা হয়েছে জানিয়ে পিপি অ্যাডভোকেট ফয়জুল হক ফয়েজ বলেন, রায় ঘোষণার সময় জসিম আদালতে উপস্থিত ছিলেন না। তিনি পলাতক রয়েছে। এ মামলায় খালাস পাওয়া একই এলাকার আলী হাওলাদারের ছেলে কুদ্দুস হাওলাদার আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

ট্রাইব্যুনালের বেঞ্চ সহকারী হুমায়ন কবির বলেন, দণ্ডপ্রাপ্ত জসিম ওই স্কুলছাত্রীর (১৬) আত্মীয়। তিনি মাদকাসক্ত।  

তিনি বলেন, মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে, তার স্কুল পড়ুয়া মেয়েকে জসিম প্রায়ই উত্ত্যক্ত করতেন। ২০১২ সালের ১৮ অক্টোবর  স্কুলছাত্রীর বাবা রিকশা চালাতে বের হলে তার মা প্রতিবেশীর বাড়িতে যান। এ সুযোগে জসিম ঘরে ঢুকে স্কুলছাত্রীকে গলা চেপে ধরে ধর্ষণ করেন। এ সময় দরজায় পাহাড়া দিচ্ছিলেন কুদ্দুস। এ ঘটনার পর ২০১২ সালের ২৫ অক্টোবর মহানগর পুলিশের বন্দর থানায় দুইজনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাতনামা আরও দুইজনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন স্কুলছাত্রীর মা।  

বন্দর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. আলমগীর হোসেন একমাত্র জসিমকে অভিযুক্ত করে ২০১২ সালের ৩১ ডিসেম্বর আদালতে চার্জশিট জমা দেন।

আদালত মামলার এজাহারে নামধারী দুই আসামির বিরুদ্ধে চার্জগঠন করে বিচার করে। মামলার ১০ জনের সাক্ষী শেষে এ রায় দেন  বিচারক।

বাংলাদেশ সময়: ২০১৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৮, ২০২৩
এমএস/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।