ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

জলবায়ু সুরক্ষায় নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে বিনিয়োগের দাবি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৫৩ ঘণ্টা, মার্চ ৩, ২০২৩
জলবায়ু সুরক্ষায় নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে বিনিয়োগের দাবি

ঢাকা: জলবায়ু সুরক্ষায় ও জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিতে ক্ষতিকর জীবাশ্ম জ্বালানি ব্যবহার বন্ধ এবং নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে বিনিয়োগের দাবি জানিয়েছেন বরিশালের তরুণ জলবায়ু কর্মীরা।

শুক্রবার (৩ মার্চ) বৈশ্বিক জলবায়ু কর্মসূচির অংশ হিসেবে এক সমাবেশে তারা এসব দাবি জানান।

জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে যৌথভাবে এই সমাবেশের আয়োজন করে ফ্রাইডেস ফর ফিউচার, ইয়ুথনেট ফর ক্লাইমেট জাস্টিস এবং বায়ুমণ্ডলীয় দূষণ অধ্যায়ন কেন্দ্র (ক্যাপস)।

সমাবেশে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় কার্বন নিঃসরন কমানোর বিষয়ে উন্নত দেশ ও প্রতিষ্ঠানগুলোর দেওয়া মিথ্যা প্রতিশ্রুতির সমালোচনা করে তরুণ জলবায়ু কর্মীরা বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের বিপর্যয়কর প্রভাবের কারণে বিশ্ব এখন জটিল সময় পার করছে। যা ইতোমধ্যে জাতিসংঘ বিশ্বব্যাপী মানবতার জন্য রেড অ্যালার্ট হিসেবে ঘোষণা করেছে। উন্নত দেশগুলোকে প্যারিস চুক্তি মেনে বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধি ১.৫ এ সীমাবদ্ধ রাখতে হবে। পাশাপাশি বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে জীবাশ্ম জ্বালানি ব্যবসায় বিনিয়োগ না করে কার্বন নিঃসরণ হ্রাসে এখনই উদ্যোগী হতে হবে।

এ সময় তারা জলবায়ু সুবিচারের দাবি জানিয়ে ক্ষতিকর জীবাশ্ম জ্বালানি বিশেষ করে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাসে (এলএনজি) অর্থায়ন বন্ধ এবং এলএনজি আমদানী নির্ভরতা কমাতেও সরকার এবং বিনিয়োগকারীদের প্রতি আহ্বান জানান। পাশাপাশি পরিবেশের ক্ষতি করে এমন প্রকল্পগুলো বন্ধ এবং জীবাশ্ম জ্বালানিতে বিনিয়োগ না করে টেকসই প্রকল্পে বিনিয়োগের আহ্বান জানান।

ইয়ুথনেট ফর ক্লাইমেট জাস্টিসের নির্বাহী সমন্বয়কারী সোহানুর রহমান বলেন, জীবাশ্ম জ্বালানিতে আমাদের নির্ভরতা কমানো যে কত জরুরি সেটা বোঝার জন্য কাল পর্যন্ত অপেক্ষা করার প্রয়োজন নেই। জলবায়ু দুর্যোগজনিত ক্ষয়-ক্ষতি মোকাবিলায় কাজ করার এখনই সময়। আমাদের অবশ্যই নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে বিনিয়োগ বাড়াতে হবে। পাশাপাশি দূষণকারী দেশগুলো থেকে যথাযথ ক্ষতিপূরণ আদায় করতে হবে। জলবায়ু এবং জ্বালানি সংকট শুধু একটি দুর্যোগই নয়, এটি আমাদের জন্য সতর্ক বার্তাও।

স্ট্যামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশের পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান ও পরিবেশ বিষয়ক সংগঠন ক্যাপসের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আহমদ কামরুজ্জামান মজুমদার বলেন, তরুণ প্রজন্মের ভবিষ্যৎ সুরক্ষার জন্য বায়ু দূষণ হ্রাস এবং জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলার জন্য এখনই জরুরি পদক্ষেপ প্রয়োজন। আমাদের মনে রাখতে হবে জলবায়ু সংকট আর বায়ু দূষণ মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠ। পৃথিবীর সবচেয়ে বড় এই সংকট মোকাবিলায় ব্যক্তি ও গোষ্ঠীগত উদ্যোগের পাশাপাশি ব্যবসায়িক এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর সম্মিলিত প্রচেষ্টা জরুরি।

মানববন্ধনে আরও উপস্থিত ছিলেন ইয়ুথনেট ফর ক্লাইমেট জাস্টিসের ঢাকা জেলোর সমন্বয়কারী নজরুল ইসলাম নাদিম, জাতীয় নেটওয়ার্ক সমন্বয়কারী জিমরান মোল্লা সায়েফ, প্রতীকী যুব সংসদের প্রোগ্রাম ম্যানেজার ময়ুরী আক্তার টুম্পা প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৫৩ ঘণ্টা, মার্চ ০৩, ২০২৩ 
এসসি/এসএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।