ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

‘কৃষিকে এগিয়ে নিতে কৃষকলীগ নেতাদের কাজ করতে হবে’

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০৩৪ ঘণ্টা, মার্চ ৪, ২০২৩
‘কৃষিকে এগিয়ে নিতে কৃষকলীগ নেতাদের কাজ করতে হবে’

মেহেরপুর: জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী অধ্যাপক ফরহাদ হোসেন এমপি বলেন, আমাদের দেশের মানুষ অধিকাংশই কৃষির সঙ্গে জড়িত। তাই কৃষিকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য কৃষক লীগ নেতাদের কাজ করতে হবে এবং তাদের ব্যাপক সম্ভাবনা আছে।

শেখ হাসিনা সরকার কৃষি বান্ধব সরকার। বাংলাদেশ এগিয়ে যাওয়ার পেছনে সব চেয়ে বড় শক্তি এই কৃষি সেক্টর।

শুক্রবার (৩ মার্চ) বিকেল ৫ টার দিকে মেহেরপুর সদর উপজেলার বুড়িপোতা ইউনিয়ন শাখার ত্রি—বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

বাংলাদেশ কৃষক লীগ বুড়িপোতা ইউনিয়ন শাখার সাধারণ সম্পাদক দাউদ হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও গাংনী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এম এ খালেক, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট মহা. আব্দুস সালাম, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক অ্যাডভোকেট ইব্রাহিম শাহীন, সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আবুল হাশেম।

অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন, জেলা কৃষক লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মাহবুব উল আলম শান্তি।
অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য দেন, মেহেরপুর জেলা কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক ওয়াসিম সাজ্জাদ লিখন।

সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক ওয়াসিম এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সমাবেশে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন, মেহেরপুর সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও আমঝুপি ইউপি চেয়ারম্যান বোরহান উদ্দিন আহমেদ চুন্নু, সাধারণ সম্পাদক ও বারাদী ইউপি চেয়ারম্যান মোমিনুল ইসলাম, বুড়িপোতা ইউপি চেয়ারম্যান শাহজামান, জেলা কৃষক লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আনারুল মিয়া ও সদর উপজেলা কৃষক লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক আবুল হাশেম।

গাংনী উপজেলা কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক মশিউর রহমান পলাশ, জেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক সরফরাজ হোসেন মৃদুল।

সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেন, কৃষকলীগ বঙ্গবন্ধুর হাতে গড়া একটি সংগঠণ ও আওয়ামী লীগের শক্তিশালী সহযোগী সংগঠন।

তিনি আরও বলেন, সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়ার ফলে কৃষি সেক্টরে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। সময়মত সরকার কৃষক পর্যায়ে সার তেল ও উন্নত বীজ সরবরাহ করার কারণে এ সেক্টর এগিয়ে গেছে। কৃষি মাঠের রাস্তাগুলোর ব্যাপক উন্নয়ন করা হয়েছে। যে কারণে কৃষকরা মাঠের শেষ প্রান্ত পর্যন্ত তাদের কৃষি পণ্য সহজেই ঘরে আনতে পারছেন, এবং ন্যায্য মূল্য পাচেছন। এছাড়া জমির ফসল এখন জমিতেই বিক্রি করতে পারছেন কৃষকরা। কৃষি ক্ষেত্রে এখন কোনো ঝামেলা নেই, নেই কোনো অব্যবস্থাপনা।

বিএনপির আমলকে কৃষক হত্যার সরকার উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিএনপি আমল ছিল কৃষকদের মেরে ফেলার আমল। সে সময় কৃষক সার তেল চেয়েছেন। বিএনপি সেই কৃষকদের সার ও তেলের পরিবর্তে কৃষকের বুকে ছুড়েছেন গুলি। কৃষকদের এক কেজি দু কেজির বেশি ইউরিয়া সার দিতেন না। অথচ, তখন এক কেজি ইউরিয়া সারের দাম ছিল ৬০ থেকে ৮০ টাকা। শেখ হাসিনা দেশ পরিচালনায় এসে কৃষকদের সেই সমস্যার সমাধান করেছেন।

তিনি আর বলেন, কৃষি জমির উপর দিয়ে রাস্তা ও নিরাপত্তার সঙ্গে কৃষি আবাদ করতে পারার কারণে কৃষি জমির দাম বেড়েছে। সে সময় জমিতে যাওয়ার সময়ও সন্ত্রাসীরা ধরে কৃষকদের কাছ থেকে চাঁদা আদায় করতো। ফসল উঠার আগেই চাঁদা দাবি করে টাকা নিতো সন্ত্রাসীরা। রাতে আবার পাহারা দিতে হতো। কেউ পাহার দিতে না পারলে যে কয়জন যেতে পারতো না তাদের কাছ থেকে ওই পরিমান খাবার নিতো।

তিনি বলেন, রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে বাড়ির গরুটির দড়ি কৃষকদের পায়ের সঙ্গে বেধে রেখে ঘুমাতে হতো। গ্রামের মানুষ এখন শান্তিতে আছে। সেখানে স্কুল কলেজ, কমিউনিটি হেল্থ ক্লিনিক আছে। কেউ চাঁদাবাজী ডাকাতি, চুরি করেনা। গ্রামগুলি এখন শহরে পরিণত হয়েছে। কৃষকরা এখন ব্যাপক উৎপাদনে গেছে। কৃষকরা তাদের মাঠের কাজ বেলা ২টার মধ্যে ঘরে ফিরে আসছেন। সরকার কৃষকদের হারভেষ্টর দিচ্ছে, সেচের ব্যবস্থা করছে, তেল, সার ও উন্নত বীজ দিচেছ।

তিনি বলেন, কৃষক লীগের ইউনিয়ন সম্মেলনের মাধ্যমে কৃষক লীগের নেতৃত্ব সংগঠিত হবে। সম্মেলনের মাধ্যমে ইউনিয়ন পর্যায় পর্যন্ত কৃষক লীগ সংগঠণ অত্যন্ত শক্তিশালী হবে।

জেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ, কৃষক লীগ সমাবেশে তাঁতি লীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, মৎসজীবি লীগ ও মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ অন্যান্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ১০৩৩ ঘণ্টা, মার্চ ০৪, ২০২৩
এসএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।