বরিশাল: বনভোজনে উচ্চস্বরে বাজানো গান বন্ধ করতে গিয়ে তিন নারীর হামলার শিকার হন পুলিশ সদস্যরা। এ সময় পুলিশ সদস্যর পোশাকও ছিড়ে ফেলে তারা।
শুক্রবার (২ মার্চ) রাতে বরিশালর বাবুগঞ্জ উপজেলার পশ্চিম দেহেরগতি ইশ্বর নারায়ণ মাধ্যমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন মাহিনুর বেগমের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
ঘটনা পর একই দিন গভীর রাতে উপজেলার পশ্চিম দেহেরগতি এলাকা থেকে ওই তিন নারীসহ ৬ জনকে আটক করে পুলিশ।
এ ঘটনায় পরদিন শনিবার (৩ মার্চ) তিন নারীসহ ১৬ জনকে আসামি করে মামলা করেন বাবুগঞ্জ থানার এএসআই মো. নাসির উদ্দিন।
মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে বেআইনিভাবে সরকারি কাজে বাধা, দায়িত্ব পালনে বাধা, হত্যার উদ্দেশ্যে আঘাত করার অভিযোগ আনা হয়েছে।
সেই মামলায় একই দিনে অভিযুক্ত তিন নারীকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
আদালতের নিবন্ধন অফিসার (জিআরও) রেজাউল করিম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, পুলিশের ওপর হামলার মামলায় সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এসএম মাহফুজুর রহমানের নির্দেশে তিন নারীকে জেলে পাঠানো হয়েছে।
একই তথ্য নিশ্চিত করে বাবুগঞ্জ থানার ওসি জানিয়েছেন, আসামিদের মধ্যে তিনজনকে জেলে পাঠিয়েছেন আদালত। অপর তিনজন কিশোর বয়সী এবং তাদের পরীক্ষা থাকায় জামিন দেওয়া হয়েছে।
জেলে যাওয়া তিন নারী হলেন-উপজেলার দক্ষিন দেহেরগতি গ্রামের হেমায়েত মোল্লার স্ত্রী আকাশী বেগম (৩৫), একই এলাকার হাবিবুর রহমান রহিমের স্ত্রী রাশিদা বেগম (৪৫) ও তার কন্যা মালা বেগম (২৫)।
তিন কিশোর হলো-দক্ষিণ দেহেরগতি এলাকার কবির হোসেন মোল্লার ছেলে মারুফ হোসেন (১৪), নাসির হাওলাদারের ছেলে হাসিব (১৫) ও উজিরপুরে চাংগুড়িয়া এলাকার সাব্বির (১৪)।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার রাত ৮টা থেকে মাহিনুর বেগমের বাড়িতে বনভোজন শুরু হয়। বনভোজনে উচ্চস্বরে গান-বাজনা বাজানো হয়। তখন স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা কাজী দেলোয়ার হোসেন বিষয়টি পুলিশকে অবহিত করেন। খবর পেয়ে বাবুগঞ্জ থানার টহল পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে উচ্চস্বরের গানবাজনা বন্ধ করার অনুরোধ করেন। এ সময় স্থানীয় যুবক ও নারীদের সঙ্গে পুলিশের তর্ক-বিতর্ক ও হাতাহাতি হয়। এ সময় পুলিশ সদস্যর পোশাকও ছিড়ে ফেলে তারা। তখন টহল দল ঘটনাস্থল থেকে ফিরে আসে। পরে অভিযান চালিয়ে তিন নারী ও কিশোরকে আটক করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ২১২০ ঘণ্টা, মার্চ ০৪, ২০২৩
এমএস/এসএএইচ