ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৯ কার্তিক ১৪৩১, ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ১২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

যুবলীগ নেতার নামে মামলা করে নিরাপত্তাহীনতায় হোটেল ব্যবসায়ী 

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০৩০ ঘণ্টা, মার্চ ৬, ২০২৩
যুবলীগ নেতার নামে মামলা করে নিরাপত্তাহীনতায় হোটেল ব্যবসায়ী  অভিযুক্ত যুবলীগ নেতা আবদুর রাজ্জাক রিংকু ও বাদী হোটেল ব্যবসায়ী ওমর ফারুক পুলক (বাঁ থেকে)

লক্ষ্মীপুর: লক্ষ্মীপুরের চন্দ্রগঞ্জে চাঁদা দাবি ও মারধরের অভিযোগে মামলা করায় হোটেল ব্যবসায়ী ওমর ফারুক পুলককে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় যুবলীগ নেতা আবদুর রাজ্জাক রিংকুর বিরুদ্ধে। এ নিয়ে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন ওই ব্যবসায়ী।

 

রোববার (৫ মার্চ) বিকেলে বাদী পুলক এ অভিযোগ করেন।  

এরআগে পুলক বাদী হয়ে চাঁদার দাবিতে তার ভাই ফয়সাল ফরহাদকে মারধরের ঘটনায় যুবলীগ নেতা রিংকুসহ ৩ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত ৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।  

বৃহস্পতিবার (২ মার্চ) সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (চন্দ্রগঞ্জ) আমলী আদালতে এ মামলাটি করা হয়।

অভিযুক্ত রিংকু সদর উপজেলা চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়ন যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক। অন্যরা হলেন চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়ন যুবলীগের সদস্য শেখ রাসেল, পারভেজ খান আকাশ ও অজ্ঞাত ৫ জন।  

বাদীর আইনজীবী আহাম্মদ ফেরদৌস মানিক বলেন, আদালতের বিচারক আনোয়ার হোসেন মামলাটি আমলে নিয়েছেন। ঘটনাটি তদন্ত করে আদালতে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার জন্য জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) নির্দেশ দিয়েছেন।

বাদী ওমর ফারুক পুলক বলেন, মামলা করার পর থেকেই রিংকু বিভিন্ন ধরনের হুমকি দিচ্ছে। বুধবার (১ মার্চ) সন্ধ্যায় প্রতিবাদ সভার নামে মাইকিং করে আমাদেরকে দেখে নেওয়ার হুমকি দেয় রিংকু। একই সঙ্গে আমাদের হোটেলে লোকজন ঢুকলে বড় ক্ষতি করবে বলে মাইকে প্রচারণা চালানো হয়। তারা আমাদের ভয়ভীতি দেখাচ্ছেন। আমার গায়ের চামড়া তুলে নেওয়ারও হুমকি দিচ্ছেন। এতে আমরা এখন নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।  

অভিযোগের বিষয়ে যুবলীগ নেতা আবদুর রাজ্জাক রিংকু বলেন, মুজাহিদুল ইসলাম নামে এক সাবেক শ্রমিককে হোটেলের ব্যবস্থাপক জসিম মারধর করেন। বিষয়টি আমাকে জানালে আমি প্রতিবাদ করি। এতে হোটেল মালিক ফরহাদ আমাকে গালমন্দ করেন। বাধ্য হয়ে তাকে থাপ্পড় দিয়েছি। চাঁদা দাবির ঘটনা মিথ্যা। এছাড়া তাদেরকে কোন ধরনের হুমকি দেওয়া হয়নি।  

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, রোববার (২৫ ফেব্রুয়ারি) রাতে যুবলীগ নেতা রিংকু একটি অনুষ্ঠানের জন্য ফারুকের কাছ থেকে ২ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। ফারুক টাকা দিতে রাজি হননি। পরদিন (২৬ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টার দিকে রিংকুসহ অভিযুক্তরা ওমর ফারুকের ভাই ফয়সালকে হোটেলের সামনে এনে মারধর করেন। এসময় প্রকাশ্যে তাকে জবাই করার হুমকি দেন রিংকু। পরে স্থানীয়রা রিংকুর হাত থেকে তাকে ছাড়িয়ে নিয়ে সদর হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠায়।  

ফয়সাল ও ওমর ফারুকের আরও অভিযোগ, যুবলীগের বিভিন্ন পোগ্রাম উপলক্ষে রিংকু তার লোকজন নিয়ে এসে টাকা ছাড়াই হোটেলে খেয়ে যেতেন। এরপরও বিভিন্ন পোগ্রামের অজুহাতে ১০ থেকে ২০ হাজার টাকা করে একাধিকবার নিয়েছেন। শেষ একটি পোগ্রাম করতে ২ লাখ টাকা লাগবে বলে রিংকু চাঁদা দাবি করেন। ওই টাকা না দেওয়ায় প্রকাশ্যে ফয়সালকে মারধর করা হয়।  

>>> পড়ুন চাঁদা না পেয়ে হোটেল ব্যবসায়ীকে মারধরের অভিযোগ

বাংলাদেশ সময়: ১০২৫ ঘণ্টা, মার্চ ৬, ২০২৩
এসএএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।