ঢাকা: ‘অনেক আশা করেছিলাম, ভাইকে আহত অবস্থায় হলেও ফিরে পাব। বিস্ফোরণের পর থেকে নিখোঁজ ছিল রবিন।
ঢাকার সিদ্দিক বাজারে বিস্ফোরণের আনুমানিক ২৪ ঘণ্টা পর ঘটনাস্থল থেকে অবশেষে দোকান কর্মচারী রবিনের মরদেহ উদ্ধারের পর এভাবেই বিলাপ করে কথাগুলো বলছিলেন বড় ভাই শাহাদাত হোসেন।
বুধবার (৮ মার্চ) বিকেলের দিকে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা পৃথক দুটি মরদেহ উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসে। যার মধ্যে রয়েছে দোকান কর্মচারী রবিন ও দোকান মালিক মোমিন উদ্দিন সুমনের মরদেহ।
শরীয়তপুর গোসাইরহাট উপজেলার সোহরাব হোসেনের তিন সন্তানের মধ্যে রবিন (২৫) ছিলেন সবার ছোট। স্ত্রী জিয়াসমিনকে নিয়ে রাজধানীর কদমতলী মুরাদপুর হাইস্কুলের পাশে একটি বাসায় ভাড়া থাকতেন তিনি।
চাকরি করতেন পুরান ঢাকার সিদ্দিক বাজারে আনিকা এজেন্সি নামে একটি সেনেটারী দোকানে। তার মালিকের নাম মোমিন উদ্দিন সুমন। মঙ্গলবার (৭ মার্চ) বিকেলের দিকে ঘটনাস্থলে বিস্ফোরণের সময় দোকানেই ছিলেন মালিক ও কর্মচারী। ঘটনার আনুমানিক ২৪ ঘণ্টা পর আজ (৮ মার্চ) বিকেলে মালিক-কর্মচারী দুজনেরই মরদেহ উদ্ধার করেন ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা।
বিষয়টি নিশ্চিত করে ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) বাচ্চু মিয়া জানান, আজ (৮ মার্চ) বিকেলের দিকে সিদ্দিক বাজারে বিস্ফোরণের ঘটনাস্থল থেকে পৃথকভাবে দুটি মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস সদস্যরা হাসপাতালে নিয়ে আসে।
ঢামেক হাসপাতালে উপস্থিত রবিনের বড় ভাই শাহাদাত হোসেন জানান, পুরান ঢাকার সিদ্দিক বাজারে বিস্ফোরণের ঘটনার পর থেকে তার ভাই রবিনকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না।
তিনি বলেন, অনেক আশা করেছিলাম, আহত হলেও তাকে জীবিত অবস্থায় আমরা ফিরে পাব। কিন্তু আনুমানিক ২৪ ঘণ্টা পর তার মরদেহ উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিস। পাশাপাশি তার দোকান মালিকের মরদেহও পাওয়া যায়।
শাহাদাত হোসেনসহ আত্মীয়-স্বজনরা হাসপাতালের জরুরি বিভাগের লাশঘরের সামনে রবিনের মরদেহ দেখে একে অপরকে জড়িয়ে ধরে কান্নায় ভেঙে পড়েন।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৩৭ ঘণ্টা, মার্চ ৮, ২০২৩
এজেডএস/এনএস