ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

মেঘনা নদীর অভয়াশ্রমে মাছ শিকার, ২০ জেলের কারাদণ্ড

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৩৯ ঘণ্টা, মার্চ ১০, ২০২৩
মেঘনা নদীর অভয়াশ্রমে মাছ শিকার, ২০ জেলের কারাদণ্ড

বরিশাল: মেঘনা নদীর অভয়াশ্রমে মাছ শিকারের সময় হাতেনাতে আটক ২০ জেলের জেল ও একজনকে জরিমানা করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার দিনগত রাতে (১০ মার্চ) ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে জরিমানা করেন মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মো. নুরন্নবী।

এর আগে বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে সন্ধ্যা সাতটা পর্যন্ত নদীর অভয়াশ্রম এলাকায় অভিযান করে তাদের আটক করা হয় বলে জানিয়েছেন মেহেন্দিগঞ্জের কালিগঞ্জ নৌ-পুলিশ ফাড়ির পরিদর্শক ফারুক হোসেন।

তিনি বলেন, গত ১ মার্চ থেকে মেঘনা নদীর ১৯০ কিলোমিটার এলাকায় সব ধরনের মাছ শিকার নিষিদ্ধ করেছে মৎস্য অধিদফতর। তাই মৎস্য কর্মকর্তার সমন্বয়ে বৃহস্পতিবার দুপুর ২টা থেকে সন্ধ্যা সাতটা পর্যন্ত মেঘনা নদীর মেহেন্দিগঞ্জের উলানিয়া ও গোবিন্দপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন অংশে অভিযান করা হয়।

এ সময় মাছ শিকারের জন্য জাল ফেলা অবস্থায় ২১ জন জেলেকে আটক করা হয়।
এছাড়াও মাছ শিকারের জন্য ফেলা জাল উদ্ধার করা হয়েছে। পরে তাদের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) ভ্রাম্যমাণ আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও ইউএনও মো. নুরন্নবী বলেন, আটক জেলেদের মধ্যে ২০ জনকে ২০ দিন করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। একজন অপ্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ায় তাকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। জরিমানার টাকা জমা দিয়ে সে মুক্ত হয়েছে।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আরও বলেন, আটক জেলেদের মধ্যে কার্ডধারী রয়েছে। নিষিদ্ধ সময়ে মাছ শিকার না করার জন্য সরকারের দেওয়া চাল পাচ্ছে। দণ্ডিতদের মধ্যে কার্ডধারীদের কার্ড বাতিলের সুপারিশ করা হবে। অভিযানে উদ্ধার আনুমানিক ৫০ হাজার মিটার জাল পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে।

দণ্ডিত জেলেরা হলো-মেহেন্দিগঞ্জের শুক্কুর হাওলাদারের ছেলে জাহাঙ্গীর হাওলাদার (৩৫), তার ছোট ভাই মো. দবির (২০), মৃত হোসেন খানের ছেলে বারেক (৩৫), পূর্ব সুলাতানী গ্রামের আনোয়ার হোসেনের ছেলে তোফায়েল সরদার (২৫), একই গ্রামের মৃত কালু হাওলাদারের ছেলে ইসলাম আলী হাওলাদার (৩০), একই গ্রামের মৃত কাজেম আলী হাওলাদারের ছেলে আনু মাঝি (৩৫), জামাল সরদারের ছেলে সুজন সরদার (২১), লতিফ রাড়ীর ছেলে মোজাম্মেল রাড়ী (২২), মৃত মোসলেম
রাড়ীর ছেলে গিয়াসউদ্দিন (২৬), মন্নান মাঝির ছেলে মোসলেম মাঝি (৪০), হাসানপুরের মো. আলমগীরের ছেলে রুহুল আমিন (২৫), চর কিল্লার রফিক মাঝির ছেলে রুবেল (২৮), পূর্ব হন্নি গ্রামের রহিম শেখের ছেলে শহিদ শেখ (৩৫), একই গ্রামের মৃত মোবারক আলীর ছেলে মোতালেব হাওলাদার (৩৫), পানবাড়িয়া গ্রামের মৃত নজরুলের ছেলে মাহবুব আলম (৪০), জাদ্দুয়া গ্রামের রহিম রাড়ীর ছেলে চান্দু রাড়ী (৪০), সুলতানী গ্রামের সুলতান রাড়ীর ছেলে বজলু মাঝি (৪৫), পশ্চিম সুলতানী গ্রামের মোতাহার মাঝির ছেলে জাকির (৩০) ও রাজপুর গ্রামের মৃত আ. রশিদে ছেলে আলমগীর (৩০)।

জরিমানা দিয়ে মুক্ত হয়েছেন জাদ্দুয়া গ্রামের হেলাল হাওলাদারের ছেলে সুমন (১৫)।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৯ ঘণ্টা, মার্চ ১০, ২০২৩
এমএস/এসএ
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।