ঢাকা, শনিবার, ১৬ আষাঢ় ১৪৩১, ২৯ জুন ২০২৪, ২১ জিলহজ ১৪৪৫

জাতীয়

গাইবান্ধায় ৩ ডাকাত গ্রেফতার

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৫১ ঘণ্টা, মার্চ ১১, ২০২৩
গাইবান্ধায় ৩ ডাকাত গ্রেফতার

গাইবান্ধা: গাইবান্ধায় ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ডাকাতির ঘটনায় জড়িত সংঘবদ্ধ চক্রের মূল হোতা নাছির উদ্দিন মোল্লা ও দেলোয়ার হোসেনসহ তিনজনকে গ্রেফতার করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।

শনিবার (১১ মার্চ) দুপুরে গাইবান্ধা পুলিশ সুপার মো. কামাল হোসেন তার নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে এ তথ্য জানান।

এর আগে শুক্রবার (১০ মার্চ) ঢাকা ও গাজিপুরের বিভিন্ন এলাকায় টানা তিনদিন ধরে পরিচালনা করা ঝটিকা অভিযানে তাদের গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতারের সময় তাদের কাছ থেকে ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত একটি পিকআপভ্যান, নগদ ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা ও একটি কম্পিউটার কিবোর্ড জব্দ করা হয়।

গ্রেফতাররা হলেন, বরগুনা জেলার আশকোনা থানার মৃত চান মিয়ার ছেলে নাছির উদ্দিন মোল্লা (৫০)  গাজিপুর জেলার কাশিমপুর উপজেলার সারদাগঞ্জ গ্রামের মৃত ছমির উদ্দিনের ছেলে হাফিজুর রহমান (৪৫) ও ঝিনাইদহ জেলার কোট চাঁদপুর থানা এলাকার এলাঙ্গী গ্রামের আব্দুল হামিদের ছেলে জাহিদুল ইসলাম (৩৬)।

পুলিশ সুপার মো. কামাল হোসেন জানান, গত বছরের ২৯ নভেম্বর গভীর রাতে গাইবান্ধার পলাশবাড়ী পৌরসভার নুনিয়াগাড়ীর মেসার্স উচ্ছ্বাস তরঙ্গ ট্রেডার্সে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। এদিন ওই ট্রেডার্স থেকে নগদ ৩ লাখ ৮ হাজার ৯৬ টাকা, একটি ৫০ হাজার টাকা মূল্যের কম্পিউটারের সিপিইউ, ২০ হাজার টাকা মূল্যের একটি এইচ পি প্রিন্টার, নাইড গার্ডের ব্যবহৃত দুইটি মোবাইল ফোন ও ১০ লাখ ২৪ হাজার ৬৬২ টাকা মূল্যের বিভিন্ন নামের ২৫ কার্টুন সিগারেট লুট করে ডাকাতদল।

এছাড়া চলতি বছরের ২২ জানুয়ারি গভীর রাতে গাইবান্ধা পৌর এলাকার মাস্টারপাড়ার মেসার্স সবুর অ্যান্ড ব্রাদার্স প্রতিষ্ঠান থেকে পাঁচ লাখ ১০ হাজার টাকার মেরিস সিগারেট চুরি হয়।

এসব ঘটনায় পলাশবাড়ী ও সদর থানায় দুইটি মামলা হয়। এরপর গাইবান্ধা গোয়েন্দা শাখার উপ-পরিদর্শক (এসআই) বদরুজ্জামান মোল্লার নেতৃত্বে ডিবি পুলিশের একটি টিম টানা তিনদিন ঝটিকা অভিযান পরিচালনা করে। পরে ঢাকা ও গাজিপুর থেকে তাদের তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়।

এ সময় ডাকাতদের কাছ থেকে ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত একটি পিকআপভ্যান ও নগদ ২ লাখ ৫০ হাজার টাকাসহ একটি কম্পিউটার কিবোর্ড জব্দ করা হয়।

পুলিশ সুপার আরও বলেন, ডাকাতদের সংঘবদ্ধ একটি বড় চক্র আছে। তারা বিভিন্ন সময় দেশের বিভিন্ন জেলায় এ ধরনের ডাকাতি করে থাকে। তাদের প্রত্যেকের নামে দেশের বিভিন্ন থানায় ৭-৮টি করে মামলা আছে। সেগুলো বিজ্ঞ আদালতে বিচারাধীন রয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৯ ঘণ্টা, মার্চ ১১, ২০২৩
এফআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।