ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

তামাক গ্রহণে বছরে মৃত্যু হয় ৮০ লাখ মানুষের

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৪৯ ঘণ্টা, মার্চ ১৪, ২০২৩
তামাক গ্রহণে বছরে মৃত্যু হয় ৮০ লাখ মানুষের

ঢাকা: তামাক গ্রহণের কারণে প্রতি বছর বিশ্বে ৮০ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়. শুধু বাংলাদেশেই এই সংখ্যা ১ লাখ ৬১ হাজার। এরমধ্যে ১২ লাখ মানুষই প্যাসিভ স্মোকিং বা পরোক্ষ ধূমপানের শিকার।

এছাড়া ৮৫ ভাগ হৃদরোগের ঝুঁকিও বাড়ায় পরোক্ষ ধূমপান। এমনকী নারীদের ক্যান্সার ও হৃদরোগের আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা পুরুষের তুলনায় ২৫ শতাংশ বেশি।  

নারী, শিশু ও তরুণদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় আগামী ২০২৩-২৪ অর্থ বছরের বাজেটে তামাকজাত দ্রব্যের ওপর অধিক হারে করারোপের দাবিতে মঙ্গলবার (১৪ মার্চ) সকালে ধানমন্ডির ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের প্রধান কার্যালয়ের সামনে সংহতি প্রকাশ করে ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনসহ তামাক বিরোধী সংগঠনগুলো।  

ওই মানববন্ধনে এসব তথ্য উল্লেখ করেন বক্তারা।

পরোক্ষ ধূমপানের স্বাস্থ্য ঝুঁকির কথা উল্লেখ করে বক্তারা বলেন, গর্ভবতী অবস্থায় পরোক্ষ ধূমপানের প্রভাবে সন্তান জন্মের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে মারা যাওয়া কিংবা মৃত সন্তান জন্ম দেওয়ার সম্ভাবনা বাড়ে উল্লেখযোগ্য হারে। এমনকি, মায়ের বুকের দুধও কমে যায়।  

কর্মসূচিতে বক্তারা জানান, শুধু নারীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষাই না, তামাকজাত দ্রব্যের ওপর অধিক হারে করারোপের মাধ্যমে প্রায় ১০ লাখ তরুণ-তরুণীকে তামাক ব্যবহার থেকে বিরত করা যাবে এবং প্রায় ৫ লাখ তরুণ-তরুণী অকাল মৃত্যুর হাত থেকে রক্ষা পাবে। এছাড়াও, কার্যকর করারোপের মাধ্যমে বাড়তি প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব আদায় করা সম্ভব।

বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার বরাত দিয়ে বক্তারা জানান, বিশ্বের ১০০ কোটি মানুষ ধূমপান করে থাকে। তাদের মধ্যে ২০ কোটি নারী। তবে প্রতি বছর প্রায় ২২ কোটি নারী তামাক সেবনের কারণে মারা যায়। এদের মধ্যে ৭১ শতাংশেরও বেশি নারী বাংলাদেশের মতো মধ্যম ও নিম্ন আয়ের দেশে বাস করে। এসব অঞ্চলে তামাকজনিত অসুস্থতা ও মৃত্যুর ঝুঁকিও বেশি।

বক্তারা বলেন, বিশ্বের অনেক দেশে নারীদের মধ্যে ধূমপানের হার বেশি পরিলক্ষিত হচ্ছে। পাশাপাশি তামাকের কারণে সৃষ্ট পরিবেশের ক্ষতি তথা জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে বাস্তুচ্যূত মানুষের মধ্যে ৮০ শতাংশই নারী।  

এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, ঢাকা আহছানিয়া মিশনের নির্বাহী পরিচালক সাজেদুল কাইয়ুম দুলাল, স্বাস্থ সেক্টরের পরিচালক ইকবাল মাসুদ, ক্যাম্পেইন ফর টোব্যাকো ফ্রি কিডসের লিড পলিসি এডভাইজার মোস্তাফিজুর রহমানসহ টিসিআরসি ও ডাব্লিবিবি ট্রাষ্টের প্রতিনিধিরা।  

বাংলাদেশ সময়: ১৭৪০ ঘণ্টা, মার্চ ১৪, ২০২৩
এসএইচডি/এনএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।