নরসিংদী: নরসিংদীর শিবপুরে মনি আক্তার (২৮) নামে এক গৃহবধূকে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর মরদেহ বারান্দার গ্রিলে ঝুলিয়ে রাখার অভিযোগ উঠেছে।
শনিবার (১৮ মার্চ) সকালে উপজেলার পুটিয়া ইউনিয়নের শালুরদিয়া গ্রামে তার স্বামী ইসমাইল হোসেনের বাড়ি থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে পুলিশ।
স্থানীয়রা জানায়, প্রায় ১৪ বছর আগে শালুরদিয়া গ্রামের মৃত শরিয়ত উল্লাহ মোক্তারের মেয়ে মনি আক্তার ও একই গ্রামের রফিজ উদ্দিনের ছেলে ইসমাইল ভালোবেসে বিয়ে করেন। বিয়ের পর তাদের সংসার ভালই কাটছিলো। ঘর আলো করে তাদের সংসারে আসে তিন মেয়ে ইসমা (১১), তাবাসসুম (৯) ও ৬ মাসের তাসনিন। তবে দীর্ঘদিন ধরে বাবা-ছেলের মধ্যে জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছিলো। এর জেরে বাবাকে মারধরও নির্যাতনের মামলায় একাধিকবার জেল ও খেটেছেন ছেলে ইসমাইল। শুক্রবার (১৭ মার্চ) রাতে বাবা-ছেলের তর্কাতর্কি হয়। একপর্যায়ে ছেলেকে মারধর করে ঘরের জিনিসপত্র ভেঙে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়ার হুমকি দেয় বাবা। এর জেরে গৃহবধূ মনি হত্যাকাণ্ড ঘটতে পারে বলে স্বজনদের ধারণা।
মৃতের মা বিলকিস বেগম বলেন, আমার মেয়েকে তারা হত্যা করে ঝুলিয়ে রেখেছে। আমি তাদের ফাঁসি চাই।
পুটিয়া ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য মাহবুব বলেন, এলাকায় ইসমাইলের বাবা খারাপ প্রকৃতির লোক হিসেবে পরিচিত। তার সঙ্গে এলাকার কেউ চলাচল করে না। তাই হত্যার খবর পেয়ে এলাকার লোকজন মৃতের স্বামী, দেবর, শ্বশুরকে আটক করে পুলিশে দিয়েছে। আমরা এলাকাবাসী হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।
শিবপুর মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আবুল ফায়েজ বলেন, আমরা খবর পেয়ে মৃতের স্বামীর ঘরের বারান্দায় বসা অবস্থায় গ্রিলের সঙ্গে গলায় ওড়না পেঁচানো মরদেহটি উদ্ধার করি। পরে সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য নরসিংদীর সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়। এ ঘটনায় তিনজনকে আটক করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৭ ঘণ্টা, মার্চ ১৮, ২০২৩
জেএইচ