ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

স্বস্তির বৃষ্টিতে অফিসগামীদের ভোগান্তি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৪০ ঘণ্টা, মার্চ ১৯, ২০২৩
স্বস্তির বৃষ্টিতে অফিসগামীদের ভোগান্তি ছবি: শাকিল আহমেদ

ঢাকা: চৈত্রের ভ্যাপসা গরমে কয়দিন ধরে অস্বস্তিতে কাটছিল রাজধানীবাসীর জীবন। এক পসলা বৃষ্টির অপেক্ষা যেন ছিল সবার।

মাঝে দু-একদিন আকাশ কালো মেঘে ছেয়ে গেলেও সেভাবে বৃষ্টি ঝড়েনি নগরজুড়ে। তাই অপেক্ষার প্রহরও যেন ফুরায়নি। অবশেষে রাজধানীতে নেমেছে কাঙ্ক্ষিত সেই বৃষ্টি। তাতে ভ্যাপসা গরম থেকে মুক্তি মিললেও ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে অফিসগামীদের।

রোববার (১৯ মার্চ) সকাল ৮টা থেকে রাজধানীতে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি শুরু হয়। বেলা ১১টায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত নগরীর কোথাও কোথাও বৃষ্টি হওয়ার খবর পাওয়া যায়।

এদিকে সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবসে হঠাৎ এমন বৃষ্টিতে ভোগান্তিতে পড়তে হয় অফিসগামী যাত্রীদের। এমনিতে রোববার অফিস শুরুর সময় রাজধানীজুড়ে থাকে তীব্র যানজট। তার ওপর বৃষ্টিতে আরও অনেকটা বেড়ে যায় সেই জটের মাত্রা। বৃষ্টির কারণে রাস্তায় গণপরিবহনের সংখ্যা কম থাকায় বিভিন্ন স্টপেজে যাত্রীদের বাসের জন্য দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। আবার বাস এলেও তাতে চেষ্টা করেও উঠতে ব্যর্থ হন অনেকে।  

সরেজমিনে রাজধানীর বিভিন্ন সড়ক ঘুরে দেখা যায়, বৃষ্টির কারণে সিগনালগুলোতে স্বাভাবিকের তুলনায় অনেক বেশি সময় আটকে রয়েছে যানবাহন। আবার গণপরিবহন কম থাকায় অফিসগামী যাত্রীদেরও দীর্ঘ সময় বিভিন্ন স্টপেজে অপেক্ষা করতে দেখা যায়।

রাজধানী মগবাজার এলকার ওয়্যারলেস মোড়ে তেমনি বাসের জন্য অপেক্ষায় ছিলেন বেসরকারি চাকরিজীবী মতিন মিয়া। তিনি বলেন, মতিঝিল যাওয়ার জন্য প্রায় আধা ঘণ্টা ধরে এখানে অপেক্ষা করছি। কিন্তু কোনো বাস নেই। এদিকে অফিসের দেরি হয়ে যাচ্ছে।

আরেক যাত্রী তাহমিনা ইসলাম বলেন, অনেকক্ষণ ধরে অপেক্ষা করছি বাসের জন্য। কিন্তু বাস নেই। দুই একটি যাও আসছে তা যাত্রীতে ভরা। নারী হওয়ায় চাইলেও অন্যদের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে সেগুলোতে উঠতে পারছি না।

মালিবাগ মোড়ে গণপরিবহনের জন্য অপেক্ষা করা যাত্রী সহিদুল বলেন, সকালে ঘুম থেকে উঠেই দেখি বৃষ্টি। বৃষ্টি কিছুটা কমলে অফিসের উদ্দেশে বের হই। কিন্তু যেই পরিমাণ যানজট তাতে ঠিক সময়ে অফিস যেতে পারবো কিনা জানি না।

তিনি আরও বলেন, বৃষ্টি হওয়ায় গরম কিছুটা কমেছে। কিন্তু রাজধানীতে বৃষ্টি আশীর্বাদের বদলে অভিশাপ হয়ে আসে। বৃষ্টি হলেই পানি, কাঁদায় রাস্তা ভরে যায়। ঠিকমতো বাস পাওয়া যায় না। আর রিকশা ভাড়া তো কোনো কারণ ছাড়াই কয়কগুণ বেড়ে যায়।

এদিকে সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়, পশ্চিমা লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে।

ফলে ঢাকাসহ সারাদেশের অনেক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্র বৃষ্টি হতে পারে। সেইসঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে।

বৃষ্টির কারণে সারা দেশের দিনের তাপমাত্রা ২-৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস হ্রাস পেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ এ কে নাজমুল হক বাংলানিউজকে বলেন, পশ্চিমা লঘুচাপের কারণে ঢাকাসহ সারাদেশে বৃষ্টি হচ্ছে। তবে এটি বর্ষাকালের মতো মুষলধারে হওয়ার মতো বৃষ্টি নয়। থেমে থেমে কিছুক্ষণ বৃষ্টি হবে।

তিনি আরও বলেন, রাজধানীতে সকাল ৮টার দিকে বৃষ্টি শুরু হয়। থেমে থেমে কিছু সময়ের জন্য বৃষ্টি হচ্ছে। দুপুরের পর আর বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা নেই। তবে আকাশ মেঘলা থাকতে পারে। রাতে আবার বৃষ্টি হতে পারে।

তবে সকাল থেকে রাজধানীতে কতটুকু বৃষ্টি হয়েছে সেটি এখনো নির্ণয় করা হয়নি বলেও জানান তিনি।

বাংলাদেশ সময়: ১২৩৮ ঘণ্টা, মার্চ ১৯, ২০২৩
এসসি/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।