গোপালগঞ্জ: মাদারীপুরের শিবচরের কুতুবপুর এলাকায় মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহতদের বাড়িতে চলছে শোকের মাতম। কেউ একমাত্র উপার্জনকারীকে হারিয়ে শোকে পাথর, কেউবা একমাত্র সন্তানকে হারিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন।
রোববার (১৯ মার্চ) রাতে নিজ নিজ এলাকায় তাদের দাফন করা হয়েছে।
দুর্ঘটনায় ময়মনসিংহ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী ছাত্রী আফসানা মিমি নিহত হয়েছেন। তিনি জেলা শহরের হীরাবাড়ী রোডের মৃত আবু হেনা মোস্তফা কামালের মেয়ে। মিমির মরদেহ দাফন করা হয়েছে তার নানী উম্মে হ্যানির কবরের পাশে।
গতকাল রোববার বাদ মাগরিব গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার বলাকৈইড় গ্রামের একটি মসজিদে জানাযার নামাজ শেষে পারিবারিক কবরস্তানে তার দাফন সম্পন্ন হয়। মিনি দুর্ঘটনাকবলিত ওই বাসে করে ঢাকা হয়ে ময়মনসিংহ যাচ্ছিলেন সার্টিফিকেট আনতে।
এছাড়া নিহত আরেক বাংলাদেশ ইউনির্ভাসিটির শিক্ষার্থী সুইটি আলম সুরভীর দাফন সম্পন্ন হয়েছে নবীনবাগস্থ পৌর কবরস্থানে। জেলা শহরের নবীনবাগ এলাকার সুরভী তার বাবার সঙ্গে ঢাকা যাচ্ছিলেন। এ দুর্ঘটনায় তার বাবা মাসুদ আলম আহত হয়ে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। মাসুদ আলমের একমাত্র সন্তান ছিলেন সুরভী। তার ৬ মাসের একটি শিশু কন্যা আছে।
গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার বনগ্রামের সামচুল শেখের ছেলে মোস্তাক শেখের দাফন হয়েছে নিজ গ্রামে পারিবারিক কবরস্থানে। মোস্তাক শেখ সিঙ্গাপুর যাওয়ার জন্য ফিঙ্গার দিতে ঢাকা যাচ্ছিলেন। তার দুই ছেলে আছে। এই পরিবারের একমাত্র কর্মক্ষম ব্যক্তি ছিলেন তিনি। স্বামীকে হারিয়ে এখন পথে বসার উপক্রম হয়েছে তার স্ত্রী জোনাকী বেগমের।
দুর্ঘটনাকবলিত বাসের সুপার ভাইজার সদর উপজেলার মানিকদাহ গ্রামের মিজানুর রহমান বিশ্বাসের ছেলে মিনহাজুর রহমান বিশ্বাসের দাফন হয়েছে এলাকার কবরস্থানে।
টুঙ্গিপাড়া উপজেলার কুশলী গ্রামের কাঞ্চন শেখের ছেলে মো. কবির শেখের দাফন হয়েছে নিজ গ্রামের পারিবারিক কবরস্থানে।
এছাড়া এ দূর্ঘটনায় নিহত অন্যদের নিজ নিজ এলাকায় দাফন সম্পন্ন হয়েছে বলে জানা গেছে।
বাংলাদেশ সময়: ২০২৭ ঘণ্টা, মার্চ ২০, ২০২৩
এফআর