রংপুর: রংপুরের কাউনিয়ায় গোপনে দাহ করার সময় বিথী রানী (১৪) নামে অষ্টম শ্রেণির এক স্কুলছাত্রীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। রহস্য উদ্ঘাটনে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে মর্গে।
বুধবার (২২ মার্চ) দুপুরে উপজেলার টেপামধুপুর ইউনিয়নের নিলাম খরিদা সদরা গ্ৰামে নিজ বাড়ির উঠান থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
মৃত বিথী রানী নিলাম খরিদা সদরা গ্ৰামের শ্রী কিরেণ চন্দ্র বর্মনের মেয়ে এবং গোবরাপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী।
স্থানীয় ও মৃতের স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বিথী রানী কীটনাশক পান করে অসুস্থ হয়ে পড়লে পল্লি চিকিৎসক দিয়ে তাকে ওয়াশ করানো হয়। এতে সে আরও অসুস্থ হয়ে পড়লে, পরিবারের লোকজন তাকে হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে মারা যাওয়ার পর বুধবার (২২ মার্চ) দুপুরে গোপনে মরদেহ দাহ করার প্রস্তুতি নেয় স্বজনেরা। পরে খবর পেয়ে বাড়ির উঠান থেকে ওই ছাত্রীর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
বিথী রানীর বাবা কিরেণ চন্দ্র বর্মন জানান, মঙ্গলবার (২১ মার্চ) বিকেলে স্কুল থেকে বাড়িতে ফিরে খাওয়া-দাওয়া করে তার মেয়ে। এরপর সে ঘরের মধ্যে থাকা কীটনাশক খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। পরে তার চিৎকারে পরিবারের লোকজন তাকে উদ্ধার করে পল্লি চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যায়। অবস্থার অবনতি হলে সন্ধ্যায় তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানকার চিকিৎসক তার মেয়েকে একটি ইনজেকশন দিয়ে রংপুরে পাঠান। ওই রাতেই তার মেয়েকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন তার মেয়েকে বুধবার (২২ মার্চ) সকালে অটোরিকশাযোগে বাড়ির উদ্দেশে রওনা দেন। কিন্তু পথে সাতমাথা এলাকায় তার মৃত্যু হয়।
টেপামধুপুর ইউনিয়নের পরিষদের চেয়ারম্যান রাশেদুল ইসলাম বলেন, বুধবার (২২ মার্চ) পরিবারের লোকজন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে না জানিয়ে অসুস্থ মেয়েকে বাড়িতে নিয়ে আসার পথে সে মারা যায়।
কাউনিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোন্তাছের বিল্লাহ বলেন, ‘মেয়েটি কী কারণে আত্মহত্যা করতে পারে- এর সঠিক কোনো তথ্য দিতে পারেনি পরিবারের লোকজন। তাকে যে হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে, সেখানকার ছাড়পত্র ও চিকিৎসাপত্রও দেখাতে পারেনি স্বজনরা। তাই মৃত্যুর প্রকৃত রহস্য উদ্ঘাটনে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ উদ্ধার করে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২১০৮ ঘণ্টা, মার্চ ২২, ২০২৩
এনএস