ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

অবশেষে ভারানি খালের ভাঙা সেতুতে বসানো হলো পাটাতন

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৪৩ ঘণ্টা, মার্চ ২৩, ২০২৩
অবশেষে ভারানি খালের ভাঙা সেতুতে বসানো হলো পাটাতন

বরিশাল: বাংলানিউজে সংবাদ প্রকাশের পরপরই বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলার গারুরিয়া ইউনিয়নের সুখী নীলগঞ্জ ভারানি খালের ভাঙা সেতুর ওপর কাঠের পাটাতন বসিয়ে চলাচলের উপযোগী করা হয়েছে। এতে যানবাহন চলাচলে দুর্ঘটনার ঝুঁকি রয়েছে বলে মনে করছেন স্থানীয়রা।

 

বুধবার (২২ মার্চ) রাতে স্থানীয় গারুরিয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ার‌্যমান এস এম কাইয়ুম খান বাংলানিউজকে বলেন, ইউনিয়ন পরিষদের ফান্ড থেকে আপাতত সেতুটির ওপরে ভাঙা অংশে কাঠের পাটাতন দিয়ে মেরামত করা হয়েছে। এতে স্থানীয়দের ভোগান্তি কিছুটা হলেও লাঘব হবে। এছাড়া নতুন সেতুর জন্য প্রকৌশল বিভাগের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে।  

শ্রমিক দিয়ে ভারানি খালের ভাঙা সেতুর ওপর বুধবার পাটাতন দেওয়া হয়েছে জানিয়ে ইউপি চেয়ার‌্যমান কাইয়ুম বলেন, এতে হয়তো আনুমানিক ৩০ হাজার টাকার মতো খরচ হয়েছে।  

তবে পাটাতন বসালেও জরাজীর্ণ সেতুটি যেকোন সময় ধসে পড়ার শঙ্কা রয়েছে জানিয়ে স্থানীয়রা বলছেন, ভাঙাচোরা রেলিংয়ের কারণে সেতু পারাপারের সময় শিশুদের খালে পড়ে যাওয়ার ঝুঁকি রয়েছে।  

স্থানীয়দের দাবি নতুন সেতু যত দ্রুত সম্ভব নির্মাণ করা হোক। সেতুটি নতুন করে নির্মাণ করার চেষ্টা চালানো হচ্ছে বলে জানিয়েছিলেন স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের উপজেলা প্রকৌশলী আবুল খায়ের মিয়া।  

প্রসঙ্গত, সুখী নীলগঞ্জের ভারানি খালের ওপর দুই দশক আগে নির্মাণ করা ওই সেতুটি। এ সেতু দিয়ে গারুরিয়া ইউনিয়নের জিনিয়া, নীলগঞ্জ, খয়রাবাদ, রবিপুর, বারঘরিয়া, দুধল ও কবাই ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি গ্রামের মানুষের চলাচল। মানুষের পাশাপাশি এ সেতু দিয়ে ছোট ধরনের যানবাহনসহ পণ্যবাহী যানবাহনের চলাচল করতে হয়।  

এদিকে সুখী নীলগঞ্জ ভারানি খালের ওপর জরাজীর্ণ এ সেতু থেকে প্রায় আধা কিলোমিটার দূরত্বে থাকা অপর একটি আয়রন ব্রিজেরও জরাজীর্ণ অবস্থা। লোহার বিম ও রেলিং এ মরিচা পড়ে খয়ে যাচ্ছে। স্লাবগুলো ভেঙে যাওয়ায় গাছের গুঁড়ি দিয়ে মেরামত করা হয়েছে।  
 

আরও পড়ুন>>

>> দুই সেতুর কারণে সুখী নীলগঞ্জের বাসিন্দারা অসুখী

বাংলাদেশ সময়: ১২৪৩ ঘণ্টা, মার্চ ২২, ২০২৩
এমএস/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।