ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

অর্থ আত্মসাৎ, অধ্যক্ষ হুমায়ুন কবিরকে সাড়ে ৫ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৩৮ ঘণ্টা, মার্চ ২৯, ২০২৩
অর্থ আত্মসাৎ, অধ্যক্ষ হুমায়ুন কবিরকে সাড়ে ৫ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ

পাবনা: পাবনায় সরকারি এডওয়ার্ড কলেজের অর্থ আত্মসাৎ মামলায় এজাহারভুক্ত আসামি অধ্যক্ষ মো. হুমায়ুন কবির মজুমদারকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করে জেলা দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) পাবনা আঞ্চলিক কার্যালয়।  

গত ২২ মার্চ এক চিঠিতে তাকে বুধবার (২৯ মার্চ) সকাল ১০টায় দুদক পাবনা জেলা কার্যালয়ে তলব করা হয়।

আসামিকে এদিন (২৯ মার্চ) ১০টা থেকে বিকেল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত দীর্ঘ সাড়ে পাঁচ ঘণ্টা ধরে মামলা সংক্রান্ত বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দুদকের সহকারী পরিচালক সাধন চন্দ্র সূত্র ধর।  

এর পরে দুদকের জেলা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মো. খায়রুল হকের সঙ্গে রুদ্ধদ্বার বৈঠকের পর তিনি বেরিয়ে আসেন। তবে এ বিষয়ে গণমাধ্যম কর্মীদের কাছে কথা বলতে রাজি হননি উপ-পরিচালক মো. খায়রুল হক।

তবে তিনি মৌখিকভাবে জানিয়েছেন, সরকারি এডওয়ার্ড কলেজের অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হয়েছে বলেই দুদকে মামলা দায়ের হয়েছে। আর এই মামলার তদন্তের স্বার্থে আসামি পক্ষের বক্তব্য শ্রবণ ও গ্রহণ প্রসঙ্গে তাকে ডাকা হয়েছিলো। এই মামলার তদন্তের স্বার্থে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। আশা করছি, খুব দ্রতই এই মামলার অভিযোগপত্র দাখিল করা হবে।  

সেই সঙ্গে মামলার তদন্ত কার্যক্রম শেষ হলে গণমাধ্যম কর্মীদের মামলা সংক্রান্ত বিষয়ে জানানো হবে বলেও জানান তিনি।

এদিকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে দুদক কার্যালয় থেকে বের হওয়ার পর অভিযুক্ত কলেজ অধ্যক্ষ মো. হুমায়ুন কবির মজুমদারকে মামলার বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি কোনো জবাব না দিয়ে দ্রুত গাড়িতে উঠে দুদক কার্যালয় ত্যাগ করেন।  

তবে এই তদন্ত কার্যক্রম বা জিজ্ঞাসাবাদের সময় তদন্তকারী কর্মকর্তার কক্ষে অধ্যক্ষের সঙ্গে কলেজের আরও দুজন শিক্ষক নেতা উপস্থিত ছিলেন বলে জানা গেছে।

মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণীতে দেওয়া তথ্য মতে, ২০১৬/২০১৭ অর্থ বছরে কলেজ তহবিলের বিভিন্ন খাত থেকে প্রায় ২ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ ওঠে অধ্যক্ষ হুমায়ুন কবির মজুমদারের বিরুদ্ধে। এরই আলোকে পাবনা দুর্নীতি দমন কমিশনের জেলা কার্যালয় তদন্ত কার্যক্রম শুরু করে। দীর্ঘ দিনের তদন্ত কার্যক্রম শেষে ২০২১ সালের জুন মাসে তার বিরুদ্ধে মামলা নথিভুক্ত হয়।  

দুদকের প্রাথমিক তদন্তে ৫৬ লাখ ৮ হাজার ৮৬ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ মিলেছে বলে জানা গেছে।

বাংলাদেশ সময়: ২১২০ ঘণ্টা, মার্চ ২৯, ২০২৩
এনএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।