ঢাকা, শনিবার, ১৩ পৌষ ১৪৩১, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

সৌদিতে বাস দুর্ঘটনা; রুকুই ছিলেন পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫০৭ ঘণ্টা, মার্চ ৩১, ২০২৩
সৌদিতে বাস দুর্ঘটনা; রুকুই ছিলেন পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি

ব্রাহ্মণবাড়িয়া: মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সৌদিআরবে ওমরা হজ করতে যাওয়ার সময়  সড়ক দুর্ঘটনায় নিহতদের মধ্যে একজন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার রুকু মিয়া। ৩ বছর আগে পরিবারে আর্থিক স্বচ্ছলতা ফেরাতে তিনি রিকশা চালানো ছেড়ে পাড়ি জমিয়েছিলেন সৌদি আরবে।

সেখানে দাম্মাম এলাকার একটি রেষ্টুরেন্টে পরিছন্নতাকর্মীর কাজ করতেন তিনি। কিন্তু তার সব স্বপ্নই অধরা থেকে গেল।

গত সোমবার (২৭ মার্চ) বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যার দিকে ওমরা করতে যাওয়ার পথে বাস দুর্ঘটনায় তার মৃত্যু হয়।

নিহত রুকুর বাড়ি জেলার কসবা উপজেলার কাইয়ুম ইউনিয়নের ওমরপুর গ্রামে। সেখানে গিয়ে দেখা যায়, স্বজনরা এসে বাকরুদ্ধ পরিবারের লোকজনদের সান্তনা দিচ্ছেন। তাদের চোখের পানি যেন শুকিয়ে গেছে। বাড়িতে ছোট দুইটি টিনের ঘরে স্ত্রী, দুই ছেলে এক মেয়ে নিয়ে বসবাস করেন নিহত রুকু মিয়ার পরিবার।

নুন আনতে যেন পানতা ফুরায় এখনও পরিবারটির। রুকু মিয়া পরিবারের অভাব মেটাতে এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে ও সুদের টাকায় সৌদিআরবে পাড়ি দিয়েছিলেন। তিন বছর ধরে প্রবাসে থাকলেও এখনও শেষ হয়নি ঋণের বোঝা। একদিকে প্রবাসে মৃত্যু, তার মধ্যে পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম মানুষটি চলে গেছে। এসব চিন্তায় যেন চোখের পানিও শুকিয়ে গিয়ে একপ্রকার বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েছেন পরিবারের মানুষগুলো।

পরিবারের লোকজন জানান, মৃত্যুর খবর শোনার পর তাদের সবকিছু যেন শেষ হয়ে গেছে। ঋণের বোঝা আর অন্যদিকে সন্তানদের ভবিষ্যত ভাবিয়ে তুলছে তাদের। তাদের দাবি, সরকার যেন দ্রুত মরদেহ দেশে আনার ব্যবস্থা করে দেন। শেষবারের মতো দেখে যেন দাফন করতে পারেন সন্তানরা।

কসবা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আমিমুল এহসান খান জানান, সৌদি আরবে সড়ক দুর্ঘটনায় কসবার রুকু মিয়ার নিহতের খবরটি শুনেছি। বিষয়টি খুবই মর্মান্তিক। তার মরদেহ দেশে ফেরাতে যোগাযোগ করা হচ্ছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৫০৬ ঘণ্টা, মার্চ ৩১, ২০২৩
এফআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।