ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

খুনের নাটক সাজানো সেই নাহিদ এখন পুলিশের খাঁচায়

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬২০ ঘণ্টা, এপ্রিল ২, ২০২৩
খুনের নাটক সাজানো সেই নাহিদ এখন পুলিশের খাঁচায় গ্রেপ্তার নাহিদ ইসলাম

সিলেট: অনলাইনে জুয়া খেলে ঋণগ্রস্ত হন সিলেটের বিয়ানীবাজারের নাহিদ ইসলাম (২৮)। জুয়া খেলায় হেরে গিয়ে ঘরে রক্ত ছিটিয়ে নিখোঁজ হয়ে খুনের নাটক সাজান।

গত ৩১ মার্চ সিলেটের বিয়ানীবাজার উপজেলার মাথিউরা ইউনিয়নের মাথিউরা পূর্বপার গ্রামের মৃত আজিজুর রহমানের ছেলে মো. আব্দুল হেকিমের (৬৮) বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। ওই বাড়ির কেয়ারটেকার ছিলেন নাহিদ ইসলাম।

ঘটনার পর আলামত সংগ্রহ করে পুলিশ ও রহস্য উন্মোচনে নামে পুলিশ। প্রায় ৪০ ঘণ্টার শ্বাসরুদ্ধকর অভিযানে শনিবার (০১ এপ্রিল) নাহিদকে নরসিংদী থেকে গ্রেফতার করা হয়।

রোববার (০২ এপ্রিল) দুপুরে সিলেটের পুলিশ সুপার কার্যালয়ে নাহিদকে নিয়ে প্রেস ব্রিফিং করেন পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ আল মামুন।

তিনি বলেন, ঘরে রক্তের ছোপ দেখে প্রাথমিকভাবে এটি হত্যাকাণ্ড মনে হওয়ায়তে রহস্য উদঘাটন ও জড়িত আসামিদের গ্রেফতারে বিয়ানীবাজার থানার একটি গোয়েন্দা দল অনুসন্ধান কার্যক্রম শুরু করে। অবশেষে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে নরসিংদী থেকে খুন হওয়ার নাটক সাজানো নাহিদকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

তাকে জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে, সে প্রায় ১৪ বছর ধরে এ এলাকায় আছে। কিন্তু তার প্রকৃত পরিচয় কেউ জানে না। নাহিদের বাড়ি নীলফামারীর কিশোরগঞ্জে এবং সেখানে অপরাধে জড়িয়ে পড়ায় সে বর্তমান ঠিকানায় আত্মগোপনে ছিল। মূলত অনলাইন জুয়ার সঙ্গে জড়িত হয়ে বড় অঙ্কের টাকা তার ঋণ হয়ে যায়। সে কৌশলে জাতীয় পরিচয়পত্রে তার নাম পরিবর্তন করে নিজের স্থায়ী ঠিকানা গোপন রাখে। তত্ত্বাবধায়ক হিসেবে যে বাড়িতে আছে, সে বাড়িকে স্থায়ী ঠিকানা হিসেবে ব্যবহার করে আসছে। প্রকৃতপক্ষে তার  নাম তাজুল ইসলাম। সে নীলফামারী জেলার কিশোরগঞ্জ থানার বড়ভিটা পূর্বপাড়ার হোসেন আলী ও আম্বিয়া বেগম দম্পতির ছেলে।

পুলিশের অনুসন্ধানকালে নাহিদের ঘর তল্লাশি করে তার নিজের হাতের লেখা একটা ডায়েরি পাওয়া যায়, তাতে অনেক দেনা-পাওনার হিসাব লেখা আছে। গ্রেফতারের পর তার মোবাইল তল্লাশি করে দেখা যায়, সে অল্প বেতনের কেয়ারটেকার। কিন্তু প্রতিদিনই ২ থেকে ৩ হাজার টাকা করে ট্রানজেকশন হচ্ছে। ঘটনাস্থলের আশপাশে ভালো করে তল্লাশি করে একটা বালতি ও মগে রং গুলানোর আলামত পাওয়া যায়। তখন এগুলো রক্ত কিনা, পরীক্ষার জন্য পরীক্ষাগারে পাঠালে তা মানুষের রক্ত বলে কেউ সুনির্দিষ্ট মতামত প্রদান করতে পারেনি।

পরবর্তীতে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় ও নিবিড় তদন্তে তার অবস্থান জানতে পেরে বিয়ানীবাজার থানা পুলিশ তাকে নরসিংদী থেকে গ্রেফতার করে।  

বাংলাদেশ সময়: ১৬২০ ঘণ্টা, এপ্রিল ০২, ২০২৩
এনইউ/জেএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।