ঢাকা, শুক্রবার, ১৭ কার্তিক ১৪৩১, ০১ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ রবিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

সংসদে পিপিপির আর্থিক ও প্রশাসনিক ক্ষমতা প্রয়োগ সংশোধনী বিল

স্পেশাল করেসপনেডন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৫৯ ঘণ্টা, এপ্রিল ৬, ২০২৩
সংসদে পিপিপির আর্থিক ও প্রশাসনিক ক্ষমতা প্রয়োগ সংশোধনী বিল

ঢাকা: বাংলাদেশ সরকারি-বেসরকারি অংশীদারত্ব (পিপিপি) কর্তৃপক্ষের আর্থিক ও প্রশাসনিক ক্ষমতা প্রয়োগ ও কার্যাবলী সম্পাদনে সংশোধনী আনা হচ্ছে। এ ছাড়া প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) নিয়োগের ক্ষমতা সরকারের হাতে ন্যস্ত হচ্ছে করা হচ্ছে।

বৃহস্পতিবার (৬ এপ্রিল) জাতীয় সংসদে এ সংক্রান্ত সংশোধনী এনে বাংলাদেশ সরকারি-বেসরকারি অংশীদারত্ব (সংশোধন) বিল ২০২৩ উপস্থাপন করা হয়েছে। সংসদ কাজে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের দায়িত্বপাপ্ত মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বিলটি উপস্থাপন করেন। এটি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে আগামী ৩০ দিনের মধ্যে সংসদে প্রতিবেদন দিতে সংসদীয় কমিটিতে পাঠানো হয়।

বিদ্যমান আইনের ধারা ৪ এর উপ-ধারা (৩) এ আর্থিক ও প্রশাসনিক ক্ষমতা প্রয়োগ ও কার্যাবলী সম্পাদনের ক্ষেত্রে পিপিপি কর্তৃপক্ষ নিরপেক্ষ ও স্বাধীন হবে বলে উল্লেখ রয়েছে। প্রস্তাবিত আইনে স্বাধীন শব্দটি বিলুপ্ত হবে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে।

বিলে বিদ্যমান পিপিপি সম্পর্কিত নীতিমালা, প্রবিধি, নির্দেশনা প্রণয়ন ও অনুমোদনের সাথে নতুন করে গাইডলাইন ও কার্যপ্রণালী প্রণয়ন করার বিধান যুক্ত হচ্ছে। পিপিপি কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান তার কার্যক্রমের জন্য সরাসরি বোর্ড অব গভর্নরসের কাছে দায়ী থাকার কথাও বলা হয়েছে এতে।

বিদ্যমান আইনে পিপিপি কর্তৃপক্ষের নির্বাহী কর্মকর্তা নিয়োগের ক্ষমতা বোর্ড অব গভর্নরসের কাছে রয়েছে। সংশোধিত আইনে এ ক্ষমতা সরকারের হাতে ন্যস্ত হবে বলে প্রস্তাব করা হয়েছে।

বিদ্যমান আইনের সাংগঠনিক কাঠামো অনুমোদনের ক্ষমতাও বোর্ড অব গভর্নরসের হাতে রয়েছে। এটি পরিবর্তন করে সরকারের হাতে দেওয়ার কথা বলা হয়েছে।

বিলের উদ্দেশ্য ও কারণ সম্পর্কিত বিবৃতিতে মন্ত্রী বলেন, পিপিপি কর্তৃপক্ষের কার্যক্রম পরিচালনার জন্য আর্থিক ও প্রশাসনিক ক্ষমতা প্রয়োগ ও কার্যাবলী সম্পাদনের ক্ষেত্রে পিপিপি কর্তৃপক্ষ ‘স্বাধীন’ হওয়ার বিষয়টি বাদ দেওয়া; বোর্ড অব গভর্নরসের সভার সংখ্যা পুন:নির্ধারণ গাইডলাইনের পাশাপাশি কার্যপ্রণালী প্রণয়ন অন্তর্ভুক্ত-করণ; প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার নিযুক্তি ও চাকরির শর্তাবলী বোর্ড অব গভর্নরসের পরিবর্তে সরকার কর্তৃক স্থিরীকৃত হওয়া, চুক্তি স্বাক্ষরের পর সংশ্লিষ্ট সরকারি প্রতিষ্ঠান কর্তৃক প্রকল্প কোম্পানিকে প্রয়োজনীয় সহায়তা দেওয়া, আইনের ব্যাখ্যা প্রদানের বিষয়টি বোর্ড অব গভর্নরসের পরিবর্তে সরকারের ওপর ন্যস্ত করা ও প্রবিধান প্রণয়নে সরকারের পুর্বানুমোদন গ্রহণের জন্য আইনটি সংশোধনের কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৫৭ ঘণ্টা, এপ্রিল ৬, ২০২৩
এসকে/এমজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।