বরিশাল: এক শিশু শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের অভিযোগে বরিশাল সদর উপজেলার এআর খান মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দপ্তরি আনিচুর রহমান ফরাজীর (৪০) নামে মামলা হয়েছে।
শুক্রবার (৮ এপ্রিল) সকালে শিশুটির চাচা বাদী হয়ে বরিশাল মেট্রোপলিটনের বন্দর থানায় মামলাটি দায়ের করেন।
মামলার আসামি আনিচুর রহমান ফরাজী বরিশাল সদর উপজেলার চরকাউয়া ইউনিয়নের চর আইচা গ্রামের মনোজ আলী ফরাজীর ছেলে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুজ্জামান জানান, নারী ও শিশু নির্যাতন আইনের ধারায় শিশু ধর্ষণের অভিযোগে দায়ের হওয়া মামলার আসামিকে গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে। পাশাপাশি শিশুটির শারীরিক পরীক্ষার জন্য চিকিৎসকের কাছে পাঠানো হয়েছে।
সে স্থানীয় চরকাউয়া গ্রামের একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী।
শিশুটি সাংবাদিকদের জানায়, এআর খান মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের একটি শ্রেণিকক্ষে দুজনকে প্রাইভেট পড়াতেন দপ্তরি আনিচুর রহমান। বৃহস্পতিবার (৬ এপ্রিল) বিকেলে তাকে একই পড়া দুইবার লিখতে দিয়ে অন্য শিশুকে বাড়ি পাঠিয়ে দেন। ওই শিশুটি চলে যাওয়ার পর তাকে কোলে বসিয়ে খারাপ কাজ করেছেন দপ্তরি আনিচুর।
মো. জাকির হোসেন নামে স্থানীয় এক বাসিন্দা জানান, শিশুটির বাবা নেই, তার মা মানুষের বাসায় কাজ করেন। ভদ্র ও মেধাবী এই শিশুটি তার সঙ্গে অনৈতিক কাজ করার পর বাসায় গিয়ে অস্বাভাবিক আচরণ শুরু করে। ব্লেড দিয়ে নিজের হাত কেটে ফেলে ও দেয়ালের সঙ্গে মাথা ঠুকে। তখন তার মা কারণ জানতে চাইলে বিষয়টি সে প্রকাশ করে। তার মা বিষয়টি স্কুল কর্তৃপক্ষকে জানালে, তারা সমাঝোতার প্রস্তাব দেয়। তবে এলাকাবাসীর বাধায় সমঝোতা বৈঠক হয়নি।
চরকাউয়া ইউপির ৫নং ওয়ার্ড সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান নান্টু বলেন, এটা স্থানীয়ভাবে সমাধানের কোনো ঘটনা না। এ ঘটনার সালিশ করতে গেলেও বিপদ হবে। তাই তিনি বিষয়টি প্রশাসনকে জানান।
এদিকে এ ঘটনায় স্কুল থেকে দপ্তরি আনিচুর রহমানকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। এছাড়াও এ ঘটনায় তদন্ত করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন এআর খান মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শফিকুর রহমান।
তিনি বলেন, স্থানীয় বাসিন্দা হওয়ায় দপ্তরি সারাক্ষণ স্কুলেই থাকে। তবে স্কুলের কোনো শ্রেণিকক্ষে প্রাইভেট পড়ায় কিনা জানি না। ঘটনা শুনে তাকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। আগামী সোমবার (১০ এপ্রিল) স্কুলের পরিচালনা কমিটির সভা ডাকা হয়েছে। সভায় ঘটনা তদন্তে কমিটি গঠন করা হবে। তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর চূড়ান্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫২১ ঘণ্টা, এপ্রিল ৮, ২০২৩
এমএস/এনএস