ঢাকা, রবিবার, ১৪ পৌষ ১৪৩১, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

চাঁদাবাজির অভিযোগে ইউএনওর গাড়িচালকের বিরুদ্ধে মামলা

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট     | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮০১ ঘণ্টা, এপ্রিল ৯, ২০২৩
চাঁদাবাজির অভিযোগে ইউএনওর গাড়িচালকের বিরুদ্ধে মামলা নগরকান্দা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার গাড়িচালক মনিরের মাতুব্বর। ছবি: সংগৃহীত

ফরিদপুর: ইউএনওর নাম ভাঙিয়ে বালু ও মাটি ব্যবসায়ীর কাছ থেকে চাঁদা আদায় ও এক মাটি ব্যবসায়ীকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) গাড়িচালক মনিরের মাতুব্বরের (৩০) বিরুদ্ধে।  

এ ঘটনায় চালককে অভিযুক্ত করে ফরিদপুরের আদালতে একটি মামলা দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী ফয়সাল খলিফা নামে এক মাটি ব্যবসায়ী।

মামলা সূত্রে জানা যায়, গত ১২ ফেব্রুয়ারি বিকেলে উপজেলার তালমা ইউনিয়নের মহিলারোড সংলগ্ন তেলের পাম্পের সামনে থেকে এক মাটি ব্যবসায়ীর গাড়ি আটকে রেখে তাকে মারধর করে টাকা ছিনিয়ে নেয় চালক মনির ও তার সাঙ্গোপাঙ্গরা। ঘটনার ভুক্তভোগী উপজেলার তালমা মোড় গ্রামের ইমদাত খলিফার ছেলে মো. ফয়সাল খলিফা (২০) বাদী হয়ে চালক মনির মাতুব্বরসহ অজ্ঞাত ৭/৮ জনকে অভিযুক্ত করে ফরিদপুরের আদালতে মামলা করে।


মামলার বাদী ফয়সাল খলিফা বলেন, আমি দীর্ঘদিন মাটির ব্যবসা করি। সেই সুবাদে নগরকান্দার ইউএনওর ড্রাইভার মনির আমার কাছে নিয়মিত চাঁদা দাবি করে আসছে। আমি চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে গত ১২ ফেব্রুয়ারি বিকেলে উপজেলার মহিলা রোড পেট্রোল পাম্পের সামনে দিয়ে মাটির ট্রলি নিয়ে পৌঁছানো মাত্র মনির ও তার সহযোগীরা আমার গতিরোধ করে। এছাড়া আমার কাছে এক লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। আমি চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে মনির আমাকে মারধর করে এবং আমার পকেটে থাকা নগদ ৩০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়। এ ঘটনায় মনির ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে ১৪ ফেব্রুয়ারি ফরিদপুরের আদালতে একটি মামলা দায়ের করি।

স্থানীয় মাটি ব্যবসায়ী আকাশ আহমেদ বলেন, ইউএনও স্যারের ভয় দেখিয়ে মনির আমার কাছ থেকে নিয়মিত চাঁদা নিয়ে আসছে। চাদা দিতে অস্বীকৃতি জানালেই মনির আমাদের হুঁমকি ধামকিসহ বিভিন্ন মামলার ভয় দেখায়।

ভুক্তভোগী আরেক মাটি ব্যবসায়ী মো. রানা বলেন, ইউএনও স্যারকে ম্যানেজ করতে মনির আমার কাছ থেকে প্রতিদিন একহাজার করে টাকা নেন। যাতে করে কোনো অভিযানের আগে তিনি আমাদের সতর্ক করতে পারেন। ডিউটি শেষ করে প্রতিদিন সন্ধ্যার পরে মোটরসাইকেল চালিয়ে এসে এ টাকা নিতেন তিনি। একদিন টাকা দিতে ব্যর্থ হলেই ইউএনও স্যারকে দিয়ে আমাদের মামলা দেন।

এদিকে চাঁদা নেওয়ার কথা স্বীকার করে গাড়িচালক মনির মাতুব্বর বলেন, ইউএনও স্যারের গাড়ি চালানোর সুবাদে অনেক সময় বিভিন্ন লোকজন আমাকে মিষ্টি খাওয়ার জন্য টাকা পয়সা দেয়। এটি নেওয়া অন্যায় হলে আর নেবো না।

এ বিষয় নগরকান্দা ইউএনও মো. মঈনুল হক বলেন, বিষয়টি আমার কানে এসেছে। এ বিষয়ে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৯ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৯, ২০২৩
এসএ
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।