কক্সবাজার: কক্সবাজারের রামুতে চোরাই গরু ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় বিজিবির গুলিতে নিহত শ্রমিকের মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তরের পর বিকেলে দাফন সম্পন্ন হয়েছে।
রোববার (৯ এপ্রিল) দুপুরে কাউয়ারখোপ ইউপির ৪ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য মোহাম্মদ আলীর কাছে মরদেহ হস্তান্তর করে বিজিবি।
নিহত আব্দুর জব্বার (৪০) রামুর কাউয়ারখোপ ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের পূর্ব কাউয়ারখোপ এলাকার মৃত জাকের আহমদের ছেলে।
তিনি এই এলাকার একটি রড সিমেন্টের দোকানে শ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন। স্থানীয়দের দাবি, ঘটনার সময় সংঘর্ষের মধ্যে পড়ে তিনি ঘটনাস্থলে মারা যান।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শামশুল আলম জানিয়েছিলেন, শনিবার রাতে রামু উপজেলার কাউয়ারখোপ ইউনিয়নের পূর্ব কাউয়ারখোপ এলাকায় মিয়ানমার থেকে পাচার হয়ে আসা গরুর একটি চালান জব্দ করে বিজিবির একটি দল। এসময় পাচারকারীরা জব্দ করা গরুগুলো ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা চালায়। এক পর্যায়ে তারা বিজিবির সদস্যদের লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে। তখন আত্মরক্ষার্থে বিজিবির সদস্যরা ফাঁকা গুলি ছুঁড়লে ঘটনাস্থলে একজন নিহত এবং তিনজন আহত হন।
এদিকে রোববার সকালে বিজিবির সদর দপ্তর থেকে জনসংযোগ কর্মকর্তা (পিআরও) মো. শরীফুল ইসলামের পাঠানো এক বার্তায় জানানো হয়েছে, শনিবার রাতে সীমান্তের চোরাই গরু জব্দ করে টহল দল পায়ে হেঁটে ফেরার সময় কাউয়ারখোপ এলাকায় সংঘবদ্ধ চোরাকারবারী, দুষ্কৃতিকারী ও স্থানীয় সহযোগী প্রায় ২০০ হতে ৩০০ জন লোক দেশীয় অস্ত্র, লাঠিসোটা ও ইটপাটকেলসহ বিজিবি টহল দলের উপর অতর্কিত হামলা চালায়। এতে চোরাকারবারীদের গুলিবিদ্ধ এবং বিজিবির ৪ সদস্য গুরুতর আহত হন।
আহতরা হলেন- বিজিবির নাইক্ষ্যংছড়ি ১১ ব্যাটালিয়নের সদস্য হাবিলদার মো. মোহাইমিনুল ইসলাম, নায়েক মো. লুৎফর রহমান ও নায়েক মো. আবুল কালাম। আহতদের কক্সবাজার সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া আহত অপর বিজিবির সদস্য নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়েছেন।
বিজিবির বার্তাটিতে আরও বলা হয়, ঘটনার সময় টহলদল সরকারি জানমাল রক্ষার্থে এবং আত্মরক্ষার্থে গুলি করতে বাধ্য হলে একজন চোরাকারবারি গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হয়। এসময় ঘটনাস্থল থেকে ১টি দেশীয় একনলা বন্দুক, ১টি কিরিচ ও ১টি দা উদ্ধার করতে সক্ষম হয়। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও বলা হয়েছে বার্তা।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৯, ২০২৩
এসবি/এসএ