ফরিদপুর: ফরিদপুরের সালথা উপজেলায় হামলার ঘটনায় উপজেলা চেয়ারম্যান মো. ওয়াদুদ মাতুব্বরকে আসামি করে পৃথক দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
রোববার (০৯ এপ্রিল) সালথা থানায় মামলা দুটি রেকর্ড করা হয়।
মামলার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন সালথা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শেখ সাদিক।
বাংলানিউজকে তিনি বলেন, হামলার ঘটনায় ভুক্তভোগী দুটি পরিবারের পক্ষ থেকে রোববার (০৯ এপ্রিল) থানায় পৃথক দুটি মামলা দায়ের করেছেন। তবে, মামলায় এখনও কাউকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।
গত ২ এপ্রিল সন্ধ্যায় সালথা উপজেলার বড় বালিয়া গ্রামে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে ও ইফতারি খাওয়াকে কেন্দ্র করে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে অতর্কিত হামলার ঘটনা ঘটে। ওই হামলায় রামদা ও ছ্যাঁনদা দিয়ে লাবলু মাতুব্বর (৩৫) ও চাম্পা বেগম (৪০) নামে দুইজনকে কুপিয়ে মারাত্মক জখম করে প্রতিপক্ষ। একইসঙ্গে বেশ কয়টি বাড়ি-ঘর ভাংচুর ও লুটপাট চালানো হয়।
ওই ঘটনায় ৩ এপ্রিল সালথা থানায় ৪২ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরও ১০/১২ জনকে আসামি করে দ্রুত বিচার আইনে একটি মামলা দায়ের করে ভুক্তভোগী পরিবার। ওই হামলার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ওই রাতেই আব্দুল হক খান, কুদ্দুস মাতুব্বরসহ ৭ জনকে ঘটনাস্থল থেকে আটক করে পুলিশ। পুলিশ পরদিন ফরিদপুরের আদালতে প্রেরণ করলে এর মধ্যে আব্দুল হক খান ও কুদ্দুস মাতুব্বরকে জামিন দেয় আদালত।
পরে এ ঘটনার প্রতিবাদ ও সুষ্ঠু বিচারের দাবিতে ৫ এপ্রিল বিকাল ৪টার দিকে বালিয়াগট্টি বাজারে একটি মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করে এলাকাবাসী। মানববন্ধন ও মিছিল শেষে বাড়ি ফেরার পথে সন্ধ্যায় দোহার গট্টি এলাকায় ও মীরের গট্টি এলাকায় পৃথক দুটি হামলার ঘটনা। সে হামলার ঘটনায় মামলা দুটি দায়ের করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১১৪৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ১০, ২০২৩
এসএএইচ