সাতক্ষীরা: সাতক্ষীরার কালিগঞ্জে চিংড়িতে অপদ্রব্য পুশের দায়ে ১২ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে (১৫ দিন থেকে ৩ মাস) কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। এসময় জব্দকৃত দুই হাজার কেজি পুশকৃত চিংড়ি আগুনে পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়।
সোমবার (১০ এপ্রিল) বিকেলে সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আজাহার আলী ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে তাদের এ সাজা দেন।
এর আগে সাতক্ষীরার নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ এবং ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর উপজেলার উজিরপুর বাজারে অভিযান চালিয়ে প্রায় দুই হাজার কেজি পুশকৃত চিংড়ি জব্দ করে।
অভিযানে নেতৃত্ব দেন জেলা নিরাপদ খাদ্য অফিসার আশরাফুল আলম ও ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. নাজমুল হাসান। এসময় সেখানে র্যাব-৬ সাতক্ষীরার কোম্পানি কমান্ডার মেজর জে.এম গালিব ও চাম্পাফুল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হক উপস্থিত ছিলেন।
ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক নাজমুল হাসান জানান, কালিগঞ্জ উপজেলার উজিরপুর বাজারে চিংড়িতে জেলি ও রাসায়নিক দ্রব্য পুশ করা হচ্ছে এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সেখানে অভিযান চালানো হয়। এ সময় চিংড়িতে অপদ্রব্য পুশে নিয়োজিত ১২ জনকে আটক করা হয়। জব্দ করা হয় প্রায় দুই হাজার কেজি পুশকৃত চিংড়ি মাছ।
তিনি আরও জানান, আটক ব্যক্তিরা প্রতিদিন চিংড়িতে জেলি পুশ করে তা দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্রয় করতেন।
কালিগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আজাহার আলী জানান, চিংড়িতে জেলি পুশের দায়ে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ এর ৪৩ ধারায় ১২ জন চিংড়ি ব্যবসায়ীকে ১৫ দিন থেকে তিন মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এদের মধ্যে একজনকে ১৫ দিন, একজনকে দুই মাস, দুইজনকে তিন মাস ও বাকিদের এক মাস করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। জব্দকৃত চিংড়ি আগুনে পুড়িয়ে বিনষ্ট করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২০২০ ঘণ্টা, এপ্রিল ১০, ২০২৩
আরএ