পিরোজপুর: পিরোজপুর জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) পাঁচ সদস্যের বিরুদ্ধে নির্যাতন এবং হেফাজতে মৃত্যু (নিবারণ) আইন ২০১৩-এ মামলা দায়ের হয়েছে।
মঙ্গলবার (১১ এপ্রিল) পিরোজপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালতে মামলাটি দায়ের করেন ইন্দুরকানী উপজেলার পত্তাশী গ্রামের মো. মাসুম হাওলাদার।
আদালতের বিচারক মো. মহিদুজ্জামান মামলাটি জুডিশিয়াল তদন্তের আদেশ দিয়েছেন।
মামলার আসামিরা হলেন- জেলা গোয়েন্দা পুলিশের সাব ইন্সেপেক্টর (এসআই) নূরুল আমীন হাওলাদার এবং চার কনস্টেবল মো. রেজওয়ান হাওলাদার, মো. আব্দুর রাজ্জাক, মো. মামুন মিয়া ও মো. শাহ জালাল মিয়া।
মামলার নালিশি পিটিশন অনুযায়ী জানা যায়, গত ২০২২ সালের ৩১ আগস্ট আসামিরা সাদা পোশাকে রাত আনুমানিক সোয়া ৯টায় মামলার বাদীর বসতঘরে ঢুকে স্ত্রী ও শিশু সন্তানের সামনে কিছু বুঝে ওঠার আগেই কিল-ঘুষি-চড়-থাপ্পড়
মারতে থাকেন। তখন বলতে থাকেন কী আছে, বের করে দাও। মামলার বাদী তার কাছে কিছু নাই বললেও আসামিরা আরও বেশি করে কিল-ঘুষি-চড়-থাপ্পড় মারতে থাকেন। এক পর্যায়ে বাদী মাটিতে লুটিয়ে পড়েন এবং জ্ঞান হারান। জ্ঞান ফিরলে আঘাতের কারণে তিনি কানে শুনতে পাচ্ছেন না, এ কথা বলার পর আসামিরা তাকে টেনেহিঁচড়ে ঘরের বাইরে নিয়ে যান। এরপর মাটির ওপরে রাখা একটি পোঁটলা বের করতে বলেন এবং তাকে ওই অবস্থায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে মাদক মামলায় তাকে চালান দেওয়া হয়। বাদী গত ১৮ অক্টোবর হাইকোর্ট থেকে জামিনে মুক্ত হয়ে বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নাক-কান-গলা বিভাগে চিকিৎসা নেন এবং সুস্থ হওয়ার পরে মঙ্গলবার (১১ এপ্রিল) আদালতে মামলা দায়ের করেন।
পিরোজপুরের সেশন জজ আদালত মামলার শুনানি শেষে বিচারক মো. মহিদুজ্জামান জুডিশিয়াল তদন্তের আদেশ দেন।
এসময় বাদী পক্ষে মামলার শুনানি করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার এম সরোয়ার হোসেন এবং তার সঙ্গে ছিলেন পিরোজপুর বারের অ্যাডভোকেট জসিম উদ্দিন আহমেদ।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩২ ঘণ্টা, এপ্রিল ১১, ২০২৩
এনএস