লক্ষ্মীপুর: লক্ষ্মীপুরে সদর উপজেলার ভবানীগঞ্জে রাতের আঁধারে ফসলি জমির মাটি কেটে ইটভাটায় নেওয়া হচ্ছে। ভেকু মেশিনের সাহায্যে মাটি কেটে ট্রাক্টরে ভরাটের সময় স্থানীয় লোকজন বাঁধা দেয়।
পরে জরুরি সেবা ৯৯৯ এ কল দিলে সদর থানা পুলিশ গিয়ে ঘটনাস্থল থেকে মাটি বহনের কাজে ব্যবহৃত ছয়টি ট্রাক্টর ও একটি ভেকু মেশিন জব্দ করে। সেখান একজন ট্রাক্টর চালক ও সহযোগীসহ তিনজনকে আটক করা হয়।
এ ঘটনায় মঙ্গলবার (১১ এপ্রিল) দিবাগত রাতে লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানায় ক্ষতিগ্রস্তদের পক্ষে কামাল উদ্দিন নামে একজন বাদী হয়ে অভিযোগ দায়ের করেন। পরে থানায় মুচলেকা দিয়ে আটক ওই তিনজনকে ছাড়িয়ে নেন ভবানীগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম রনি।
ফসলি জমির মাটিগুলো ওই ইউপি চেয়ারম্যানের ইটভাটায় নেওয়া হচ্ছে বলে জানায় স্থানীয়রা।
অভিযোগকারী ও ক্ষতিগ্রস্ত কামাল উদ্দিন সদর উপজেলার ভবানিগঞ্জ ইউনিয়নের আবদুল্লাহপুর গ্রামের আকাব উদ্দিন ব্যাপারি বাড়ির আব্দুল আজিজের ছেলে।
ক্ষতিগ্রস্ত কয়েকজন জানান, তাদের ফসলি জমি থেকে স্থানীয় নুরু, রাজন, সিবলুসহ ১০-১৫ জন মিলে মঙ্গলবার ভেকু মেশিন দিয়ে মাটি কাটেন। এসময় ১০-১২টি ট্রাক্টর দিয়ে মাটি পরিবহন করতে দেখে স্থানীয় বাসিন্দারা। খবর পেয়ে এলাকাবাসী একত্রিত হয়ে চলাচলের রাস্তা কেটে ৬টি ট্রাক্ট্রর ও একটি বেকু মেশিন আটকে দেয়।
পরে পুলিশ গিয়ে ঘটনাস্থল থেকে তিনজনকে আটক করে থানায় নিয়ে যান। স্থানীয় চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম রনি তাদের থানা থেকে ছাড়িয়ে নেন। তার ইটভাটায় এ মাটি নেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন ভুক্তভোগীরা।
অভিযোগকারী কামাল হোসেন বলেন, মাটি কেটে নেওয়ার ঘটনায় রাজন, সিবলু, ফয়সাল, ফরহাদ, বাবু, মামুন, তায়েব, নুরু ও মুসলিমের নামে থানায় অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। এরা ভবানীগঞ্জ ইউনিয়নের আবদুল্লাহপুর ও পিয়ারাপুর গ্রামের বাসিন্দা।
স্থানীয় চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম রনি জানান, তিনি ইটভাটার জন্য মাটি কিনেছেন। কিন্তু মাটি নিয়ে বিরোধের বিষয়টি তার জানা নেই।
লক্ষ্মীপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মোসলেহ উদ্দিন বলেন, অভিযোগ পেয়ে মাটি কাটা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ট্রাক্টর ও ভেকু মেশিন জব্দ করা হয়। তদন্ত করে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ০৮৩৯ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৩, ২০২৩
আরএ