ঢাকা, রবিবার, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

এখনো অবিক্রিত ঈদযাত্রার ১০ ভাগ টিকিট!

নিশাত বিজয়, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫০৭ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৩, ২০২৩
এখনো অবিক্রিত ঈদযাত্রার ১০ ভাগ টিকিট!

ঢাকা: ‘টিকিট যার, ভ্রমণ তার’ স্লোগান নিয়ে এ বছর ঈদ উপলক্ষে অনলাইনে শতভাগ টিকিট পদ্ধতি চালু হয়।  

তবে এতে ‘লগ ইন হয় না, সার্ভারের ধীর গতি’ নিয়ে যাত্রীদের মধ্যে যেমন ছিল অভাব-অভিযোগ, তেমনি যারা টিকিট পেয়েছেন, তাদের মধ্যেও ছিল সন্তুষ্টি।

এদিকে, গত বছর (২০২২) কাউন্টার থেকে কালোবাজারি নিয়ে অভিযোগ থাকলেও, এবারে সেই অভিযোগ তেমন ওঠেনি।  

কালোবাজারি রোধ করার জন্যেই মূলত এবার ঈদে শতভাগ অগ্রিম টিকিট অনলাইনে বিক্রি করছে রেল কর্তৃপক্ষ। সহজ সিনোসিস ভিনসেন্ট জেভির সঙ্গে পাঁচ বছরের চুক্তি অনুযায়ী এই টিকিট বিক্রি হচ্ছে।

বৃহস্পতিবার (১৩ এপ্রিল) সরেজমিনে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন ঘুরে দেখা যায়, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ বিভিন্ন মাধ্যমে টিকিটের ব্যাপক চাহিদা থাকলেও, এখনো অবিক্রিত রয়েছে ১০ শতাংশ টিকেট। যা সংখ্যায় প্রায় ১৩ হাজার।

সহজ ও রেল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, অবিক্রিত এসব টিকিট পাওয়া যাবে যাত্রার আগের দিন পর্যন্ত।

জানা গেছে, অবিক্রিত এসব টিকিটের অধিকাংশই সিলেট ও চট্টগ্রামের আন্ত:নগর ট্রেনের।

বিষয়টি নিশ্চিত করে সহজ সিনোসিস ভিনসেন জেভির ভাইস প্রেসিডেন্ট জুবায়ের আহমেদ বাংলানিউজকে বলেন, রেলের টিকিট এখনো আছে। যা দুই একদিনের মধ্যে শেষ হয়ে যাবে। এখন পর্যন্ত ৯০ ভাগ টিকিট বিক্রি হয়েছে। যেসব টিকিট বিক্রি হয়নি সেগুলো সিলেট ও চট্টগ্রাম অঞ্চলের।  

জুবায়ের আহমেদ জানান, তাদের সার্ভারে বর্তমানে কোনো সমস্যা নেই। লগইন হচ্ছে, তবে সার্ভারের ক্যাপাসিটি ইস্যু থাকার কারণে একটু ধৈর্য ধরতে হচ্ছে।

তিনি বলেন, যেহেতু ক্যাপাসিটি ইস্যু আছে, সেজন্য একসঙ্গে সাড়ে তিন কোটি হিট হলে সেখানে একটু ধীর গতি হবে। এটাও ১০ থেকে ১৫ মিনিটের জন্য।

এ বিষয়ে রেলওয়ে মন্ত্রণালয়ের সাবেক অতিরিক্ত সচিব মাহাবুব কবির মিলন জানিয়েছেন, অনলাইন পদ্ধতিতে টিকিট বিক্রি শতভাগ স্বচ্ছ। তবে সহজের সক্ষমতা আরও বাড়ানো উচিত।

রেল থেকে আগেই ঘোষণা করা হয়েছিল যে, ৭ থেকে ১১ এপ্রিল পর্যন্ত পাওয়া যাবে ১৭ থেকে ২১ এপ্রিলের টিকিট। এরপর ১৫ থেকে ২০ এপ্রিলের মধ্যে পাওয়া যাবে ২৫ থেকে ৩০ এপ্রিলের টিকিট। এসব টিকিট কাটতে হবে সহজের মাধ্যমে। এই সময়ে কাউন্টারে কোনো টিকিট পাওয়া যাবে না।

এদিকে, যাত্রীদের টিকেট অপ্রাপ্তি নিয়ে রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন জানিয়েছেন, যা টিকিট তাই বিক্রি হবে। সব যাত্রীর দায়িত্ব রেল নেয়নি। যারা টিকিট পাবে না, তারাই অভিযোগ করবে।

এ বিষয়ে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন ম্যানেজার মাসুদ সারোয়ার বলেন, এবার রেলের অগ্রিম টিকিট প্রায় এক লাখ ৪৪ হাজার। প্রতিদিন ভ্রমণ করতে পারবেন ২৮ হাজার ৭০০ যাত্রী।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৩, ২০১৩
এনবি/এনএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।