মেহেরপুর: মেহেরপুরের গাংনীতে রবিউল ইসলাম (৫০) নামে পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে দায়ের করা একটি মামলার আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে থানা পুলিশ।
শনিবার (১৫ এপ্রিল) দুপুরের দিকে গাংনী থানা পুলিশের একটি টিম অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে।
পরে বিকেলের দিকে তাকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
গ্রেপ্তার রবিউল ইসলাম মেহেরপুর সদর উপজেলার মদনা গ্রামের বেলতলাপাড়া এলাকার মৃত ফজের আলীর ছেলে।
গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রাজ্জাক এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।
এর আগে শুক্রবার (১৪ এপ্রিল) রাতে গাংনী পৌর এলাকার উত্তরপাড়া গ্রামের কাঠমিস্ত্রি জিয়াউর রহমানের স্ত্রী ও এক সন্তানের জননী রবিউল ইসলামকে একমাত্র আসামি করে পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলাটি দায়ের করেন।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, আসামি রবিউল ইসলাম বিভিন্ন সময় বাদীকে প্রলোভন দেখিয়ে কুপ্রস্তাব দিয়ে আসতেন। এতে বাদী রাজি না হওয়ায় আসামি তাকে বিভিন্নভাবে ক্ষতিগ্রস্ত ও মান-সম্মান নষ্ট করার ভয় দেখিয়ে তার সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা বলতে বাধ্য করেন। একপর্যায়ে বাদী জিয়াউর রহমানের সংসার ছেড়ে আসামি রবিউল ইসলামকে বিয়ে করেন। বিয়ের ১৫ দিনের মাথায় বাদী জানতে পারেন যে, আসামির আরও একজন স্ত্রী রয়েছেন। তাই তিনি আসামির সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করে পূর্বের স্বামীর কাছে চলে আসেন। এতে আসামি রবিউল ইসলাম আরও বেপরোয়া হয়ে ওঠেন এবং তাদের ১৫ দিনের সংসার জীবনে গোপনে ধারণকৃত বিভিন্ন ভিডিও বর্তমান স্বামী জিয়াউর রহমানের কাছে পাঠিয়ে সংসার নষ্ট করার চেষ্টা করেন।
এতে আরও বলা হয়, আসামি রবিউল ইসলাম ইতোপূর্বে গোপনে ধারণকৃত ছবি ও ভিডিও বাদীর বর্তমান স্বামী জিয়াউর রহমানের কাছে পাঠানোর হুমকি দিয়ে শারীরিক সম্পর্কের জন্য কুপ্রস্তাব দেয়। এতে বাদী নিরুপায় হয়ে কখনো চুয়াডাঙ্গা, কুষ্টিয়া, মেহেরপুর ও গাংনী এলাকার কয়েকটি বাড়িতে গিয়ে তার সঙ্গে অবৈধ শারীরিক সম্পর্ক করেন।
কিছুদিন পূর্বে বাদী অবৈধ সম্পর্কে রাজি না হওয়ায় তার ১১ বছরের শিশুকে মোটরসাইকেলে বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার কথা বলে তুলে নিয়ে যায়। পরে আসামির সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কে রাজি হলে শিশুটিকে ছেড়ে দেওয়া হয় বলেও জানান বাদী।
এরপরেও আসামি গত ২ এপ্রিল বাদীর নগ্ন ছবি ও ভিডিও মোবাইল ফোনের মাধ্যমে তার বর্তমান স্বামী জিয়াউর রহমানের মোবাইলে পাঠিয়ে সংসার ভেঙে দেওয়ার হুমকি দিতে থাকেন।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী শুক্রবার (১৪ এপ্রিল) রাতে রবিউল ইসলামকে আসামি করে পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে নারীর অজ্ঞাতে তার নগ্নছবি মোবাইল ফোনে ধারণ করে অন্য মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ছড়িয়ে দিয়ে সামাজিক ও মানসিকভাবে মর্যাদাহানী করার অপরাধের আইনে মামলা দায়ের করেন।
বাংলাদেশ সময়: ২০৩৭ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৫, ২০২৩
এনএস