ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৯ কার্তিক ১৪৩১, ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ১২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

অগ্নিকাণ্ড রোধে জনসমাগম স্থলে ধূমপান নিষিদ্ধ করার আহ্বান

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩০৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৭, ২০২৩
অগ্নিকাণ্ড রোধে জনসমাগম স্থলে ধূমপান নিষিদ্ধ করার আহ্বান

ঢাকা: দেশে প্রতি বছর অসংখ্য অগ্নিকাণ্ড ঘটছে। এর অধিকাংশেরই সূত্রপাত হয় সিগারেট বা বিড়ির জ্বলন্ত টুকরো থেকে।

সম্প্রতি বঙ্গবাজারে ঘটা অগ্নিকাণ্ডও সিগারেট বা কয়েলের আগুন থেকে হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তাই অগ্নিকাণ্ড রোধে পাবলিক প্লেসে ধূমপান নিষিদ্ধ করা জরুরি বলে বলে মনে করছে বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোট।

সোমবার (১৭ এপ্রিল) গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে অগ্নিকাণ্ড রোধে পাবলিক প্লেসে ধূমপান নিষিদ্ধ করারও আহ্বান জানায় এই জোট।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সাম্প্রতিক সময়ে দেশের বিভিন্ন মার্কেটে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এতে প্রচুর মানুষের জীবন ও সম্পদ ক্ষতির সম্মূখীন হয়েছে। অগ্নিকাণ্ডের ভয়াবহতা থেকে রক্ষা পেতে এই মূহুর্তেই সবার সতর্ক হওয়া জরুরি।

সিগারেট ও বিড়ির জ্বলন্ত টুকরোকে অগ্নিকাণ্ডের অন্যতম কারণ আখ্যায়িত করে বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, বাংলাদেশে প্রতি বছর অসংখ্য অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটছে। এর অধিকাংশেরই অন্যতম কারণ সিগারেট বা বিড়ির জ্বলন্ত টুকরো। ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের প্রতিবেদনের তথ্যানুযায়ী, ২০১৮ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত দেশে সিগারেট বা বিড়ির ফেলে দেওয়া জ্বলন্ত টুকরা থেকে ১৭ হাজার ৯৭৯টি অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে। এর মধ্যে ২০২১ সালে ৩ হাজার ১৯৩টি, যা মোট অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার ১৪.৭৮ শতাংশ। যার আনুমানিক ক্ষতির পরিমান ১৩ কোটি ৪১ লাখ টাকা। ২০২২ সালে একই কারণে ৩ হাজার ৮৭৮টি অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতি হয় ৩৪ কোটি ৬৪ লাখ টাকার অধিক। যা মোট অগ্নিকাণ্ডেের ১৬.৮ শতাংশ।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, বঙ্গবাজারে যে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছিল সেটির কারণও সিগারেট বা কয়েল বলে অনুমান করা হচ্ছে। এমতাবস্থায় এখনই সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া দরকার। বর্তমানে বাংলাদেশ ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন অনুযায়ী পাবলিক প্লেসে ধূমপান নিষিদ্ধ। কিন্তু এই আইনে ধূমপানের স্থান রাখারও একটি বিধান বিদ্যমান আছে। তাই এই ধারাকে কাজে লাগিয়ে সিগারেট কোম্পানিগুলো সুকৌশলে বিভিন্ন জায়গায় ধূমপানের স্থান তৈরি করছে। এতে মানুষের জীবন ও সম্পদকে মারাত্বক ক্ষতির সম্মুখীন করা হচ্ছে।

তাই বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোট মনে করে যে, বর্তমানে ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) আইন, ২০০৫ এর যে আইন সংশোধন প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে সেখানে ধূমপানের স্থান রাখার বিধান বাতিল করা জরুরি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রত্যয় অনুসারে ২০৪০ সালের আগে তামাকমুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তুলতে স্থানীয় সরকার আইন, মেট্রোপলিটন আইন, ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ আইন এবং ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স আইন অনুসারে সব গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে ধূমপান সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ করে দেওয়া উচিত।  

এই বিষয়ে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য বিজ্ঞপ্তিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানায় বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোট। পাশাপাশি জনস্বাস্থ্য এবং সম্পদ রক্ষায় সব মার্কেট কর্তৃপক্ষকেও এগিয়ে আসার আহ্বান জানায় তারা।

বাংলাদেশ সময়: ২৩০৪ ঘণ্টা, ১৭ এপ্রিল ২০২৩
এসসি/এফআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।