ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

দাঁড়িয়ে যাওয়ার টিকিটের জন্য কমলাপুরে যাত্রীদের ভিড়

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২২৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৯, ২০২৩
দাঁড়িয়ে যাওয়ার টিকিটের জন্য কমলাপুরে যাত্রীদের ভিড়

ঢাকা: বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে স্ট্যান্ডিং টিকিট (দাঁড়িয়ে যাওয়া) প্রত্যাশীদের ভিড় বেড়েছে। এ বছর পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর উপলক্ষে যাত্রার তৃতীয় দিন আজ (১৯ এপ্রিল)।

আর স্ট্যান্ডিং টিকিট সংগ্রহের জন্য যাত্রার নির্দিষ্ট দিনে দুই ঘণ্টা আগে রেলওয়ে স্টেশনের কাউন্টারে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে যাত্রীদের। মূলত এজন্যই যাত্রীদের ভিড় রয়েছে কমলাপুরে।

বুধবার (১৯ এপ্রিল) রাজধানীর কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন ঘুরে এমন দৃশ্য চোখে পড়েছে।

এ বছর ঈদযাত্রা ও ঈদের ফিরতি যাত্রার শতভাগ টিকিট অনলাইনে বিক্রি করা হয়। যে কারণে মূল টিকিটের জন্য ভিড় চোখে পড়েনি। এদিন ভোর থেকেই বিভিন্ন ট্রেনের যাত্রীরা কাউন্টারগুলোর সামনে ভিড় করছেন। তবে, শতকরা ২৫ শতাংশের বেশি স্ট্যান্ডটিকিট বিক্রি করা হচ্ছে না। এতে করে অনেক যাত্রীই টিকিট কাটতে না পেরে স্টেশন ত্যাগ করছেন।

কাউন্টারগুলোর সামনে দেখা যায়, ২৫ শতাংশ টিকিট শেষ হওয়ার পরপরই বাকিদের লাইন থেকে বের করে দেওয়া হচ্ছে। পরে অন্য ট্রেনের জন্য আবারও টিকিট বিক্রি করা হচ্ছে।

কাউন্টারের এক কর্মকর্তা বলেন, আমাদের ২৫ শতাংশের বেশি স্ট্যান্ডিং টিকিটের ব্যবস্থা নেই। এ কারণে টিকিটপ্রত্যাশী বেশি হলেও বাকিরা টিকিট পাবেন না এটাই স্বাভাবিক।

স্ট্যান্ডিং টিকিটের জন্য দীর্ঘসময় ধরে লাইনে দাঁড়িয়ে ছিলেন রাসেল মাহমুদ, যাবেন রাজশাহী। বাংলানিউজকে তিনি বলেন, অনলাইনে টিকিটের জন্য চেষ্টা করেও পাইনি। তাই স্টেশনে স্ট্যান্ডিং টিকিটের জন্য এসেছি। কিন্তু টিকিট ২৫ শতাংশ বিক্রি শেষ হয়ে যাওয়ায় খালিহাতেই ফিরতে হচ্ছে।

তাহলে কীভাবে যাবেন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এখন বাসযোগে যেতে হবে। এছাড়া উপায় নেই।

শরীফুল ইসলাম নামে আরেকজনের সঙ্গে কথা হয়। বাংলানিউজকে তিনি বলেন, দাঁড়িয়েছিলাম আমরা ৩ জন স্ট্যান্ডিং টিকিটের জন্য। বাকি দু'জন টিকিট পেয়েছে, আমি পাইনি। মন খারাপ এটা ভেবে যে এখন সবার আলাদা যেতে হবে।

এদিকে ঈদযাত্রায় ট্রেনের শিডিউল বিপর্যয় ঠেকাতে বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। উত্তরাঞ্চল থেকে ছেড়ে আসা সাতটি ট্রেন রাজধানীর বিমানবন্দর রেলস্টেশনে না থেমে সরাসরি চলে আসবে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন। ১৭ এপ্রিল থেকে ঈদের আগের দিন পর্যন্ত ঢাকাগামী একতা এক্সপ্রেস, দ্রুতযান, পঞ্চগড়, নীলসাগর, কুড়িগ্রাম, লালমনি ও রংপুর এক্সপ্রেস ঢাকা বিমানবন্দর স্টেশনে যাত্রাবিরতি দেবে না।

এবার ঈদযাত্রায় আন্তঃনগর ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু হয় গত ৭ এপ্রিল। ওইদিন বিক্রি হয় ১৭ এপ্রিলের টিকিট। এরপর ৮ এপ্রিল ১৮ এপ্রিলের, ৯ এপ্রিল ১৯ এপ্রিলের, ১০ এপ্রিল ২০ এপ্রিলের এবং ১১ এপ্রিল বিক্রি হয় ২১ এপ্রিলের টিকিট।

একইভাবে ঈদের ফিরতি যাত্রার টিকিট বিক্রি শুরু হয়েছে ১৫ এপ্রিল থেকে। ফিরতি যাত্রার টিকিট বিক্রি শুরুর প্রথমদিন বিক্রি হয়েছে ২৫ এপ্রিলের টিকিট। ১৬ এপ্রিল বিক্রি হয়েছে ২৬ এপ্রিলের, ১৭ এপ্রিল ২৭ এপ্রিলের, ১৮ এপ্রিল ২৮ এপ্রিলের, ১৯ এপ্রিল হচ্ছে ২৯ এপ্রিলের এবং ২০ এপ্রিল বিক্রি করা হবে ৩০ এপ্রিলের টিকিট।

বাংলাদেশ সময়: ১২২৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৯, ২০২৩
এমকেে/এমএমজেড

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।