ঢাকা, রবিবার, ৭ পৌষ ১৪৩১, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

ভিড় নেই সিলেটের বাস টার্মিনালে

নাসির উদ্দিন, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৫৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৯, ২০২৩
ভিড় নেই সিলেটের বাস টার্মিনালে

সিলেট: পবিত্র ঈদুল ফিতর আসন্ন। ঈদে নাড়ির টানে বাড়ি ফিরছে মানুষ।

বিশেষ করে রেল, সড়কপথ, আকাশ পথ। কোথাও ফুসরত থাকে না। সবখানে এতোদিন কর্মব্যস্ত থাকা মানুষের ছুটে চলা বাড়ির পানে। উদ্দেশে একটাই পরিবার পরিবজনদের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করা। তবে এবার সিলেটে বাস টার্মিনালে ভিড় দেখা যায়নি যাত্রীদের।

এবার সিলেটের বাস টার্মিনালের চিত্র সম্পূর্ণ উল্টো। নান্দনিকভাবে গড়ে তোলা বিশাল টার্মিনাল এলাকায় নেই যাত্রীদের ভিড়। বিভিন্ন গন্তব্যের উদ্দেশে ছেড়ে যাওয়া বাসগুলো ধরতে তাড়া নেই যাত্রীদের। উপরন্তু যাত্রীদের জন্য অপেক্ষমাণ বাসের চালক-হেলপাররা।

সরেজমিন বুধবার(১৯ এপ্রিল) বিকেলে সিলেটের কদমতলী কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালে দেখা গেছে, বিশাল বাস টার্মিনাল ফাঁকা। যাত্রীদের আনাগোনা তুলনামূলক কম।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আন্তঃজেলা বাস দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ছেড়ে যাচ্ছে। দুরপাল্লার উদ্দেশে ছেড়ে যাওয়া বাসে যাত্রীসংখ্যা তুলনামূলক কম। এর কারণ হিসেবে আগে থেকেই মানুষ গন্তব্যের উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন, মনে করছেন।

এদিন বাস টার্মিনালে রাজশাহীগামী যাত্রী রোকেয়া পরিবহণের যাত্রী নগরের একটি বেসরকারি কোম্পানিতে কর্মরত তাজুল ইসলাম বলেন, গত বছর বাসের টিকিট পাওয়া মুশকিল ছিল। এবার হাতেগোনা কয়েকজন যাত্রী বাসের টিকিট কেটেছেন।

বাস টার্মিনালের এনা পরিবহণের চালক লেচু মিয়া বলেন, গত কয়েকদিন খুব ব্যস্ততা গেছে। যাত্রীদের চাপ ছিল বেশি। আজ তেমন চাপ নেই। অনেকে পরিবার পরিজন নিয়ে আগেই রওনা দিয়েছেন, যে কারণে যাত্রীদের চাপ কম মনে হচ্ছে।

সিলেট জেলা বাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক জিয়াউল কবির পলাশ বলেন, মানুষ আগের তুলনায় সচেতন হয়েছেন। এখন মানুষ একসঙ্গে বের হয় না। আলাদা আলাদাভাবে বের হওয়াতে সুশৃঙ্খল ও শান্তিপূর্ণভাবে মানুষের ঈদ যাত্রা হচ্ছে। অনেকে ঝক্কি ঝামেলা এড়াতে আগেই পরিবারের সদস্যদের বাড়িতে পাঠিয়ে দেন। পরবর্তীতে পরিবারের কর্তা ব্যক্তি একাই রওনা হন। যে কারণে দেশের বিভিন্ন জায়গায়ও এ বছর তুলনামূলক যানজট কম।

সিলেট রেলস্টেশনের ব্যবস্থাপক নুরুল ইসলাম বলেন, ঈদ কেন্দ্রিক ট্রেনের যাত্রীদের চাপ থাকে বেশি। আর অনলাইনে টিকিট বিক্রয় চালু করায় নিমিষেই সব টিকিট শেষ হয়ে যায়। এরপরও যাত্রীরা ট্রেনে যেতে স্বচ্ছন্দবোধ করেন বিধায় মধ্যবর্তী স্টেশনগুলোর যাত্রীরা স্ট্যান্ডিং টিকিট কেটে নেন।

এদিকে, সিলেট হাইওয়ে রিজিওনের পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ শহিদুল্লাহ গণমাধ্যমকে বলেন, ঈদযাত্রা নির্বিঘ্নে করতে হাইওয়ে পুলিশ কাজ করে যাচ্ছে। সিলেট থেকে হবিগঞ্জের মাধবপুর মোড় পর্যন্ত হাইওয়ে পুলিশ ২৪ ঘণ্টা দায়িত্ব পালন করছে। পাশাপাশি আনসার সদস্যরা কাজ করছে। ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের ৮টি জায়গায় চেকপোস্ট ও ৭টি টহল টিম কাজ করছে।

বাংলাদেশ সময়: ২১৫৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৯, ২০২৩
এনইউ/জেএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।