ঢাকা, শনিবার, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

পাবনায় বজ্রপাতে নিহত ২, ঝড়-শিলাবৃষ্টিতে ফসলের ক্ষতি

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৩৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৯, ২০২৩
পাবনায় বজ্রপাতে নিহত ২, ঝড়-শিলাবৃষ্টিতে ফসলের ক্ষতি

পাবনা: গত কয়েক দিনের প্রচণ্ড তাপদাহ ও গরমে অতিষ্ঠ হয়ে ওঠা জনজীবনে প্রশান্তি বয়ে এনেছে বৃষ্টি। সম্প্রতি সারা দেশের বিভিন্ন স্থানের মতো পাবনাতেও দুই দফা বৃষ্টি হয়েছে।

শনিবার (২৯ এপ্রিল) দুপুরে জেলা শহর পাবনাসহ বিভিন্ন স্থানে আকষ্মিক ঝড়-বাতাসের সঙ্গে শিলাবৃষ্টি হয়েছে। দীর্ঘদিন পরে বৃষ্টির সঙ্গে ব্যাপক হারে এই শিলাবৃষ্টি হওয়ায় গ্রীস্মকালিন ফল ও ফসল বিশেষ করে আম, লিচুসহ পাকা বোরো ধানের ব্যপক ক্ষতি হয়েছে। জেলা জুড়েই দুপুর থেকে মেঘলা আবহাওয়া বিরাজ করছে। থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে বিভিন্ন স্থানে। আকষ্মিক এই ঝড়-বাতাস ও শিলাবৃষ্টির কারনে জেলা সদরসহ বিভিন্ন স্থানে কাঁচা আম ও লিচু ঝড়ে পড়েছে।

ঈশ্বরদী আবহাওয়া অফিসের দায়িত্বরত কর্মকর্তা হেলাল উদ্দিনের দেওয়া তথ্যমতে, প্রচণ্ড তাপদাহের পর বিগত তিনদিন আগে ঈশ্বরদীসহ পাবনা জেলায় ১৭ মিলিমিটার ও দুইদিন আগে ১১ মিলিমিটার  বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়। তবে শনিবারে ঈশ্বরদীতে কোনো বৃষ্টিপাত হয়নি, যদিও আকাশ মেঘাচ্ছন্ন রয়েছে।


এদিকে পাবনার বেড়া ও আটঘরিয়া উপজেলায় এক কৃষক ও শিক্ষার্থী বজ্রপাতে নিহত হয়েছে বলে জানা গেছে। তারা হলেন- আমিনপুর থানাধীন গবিন্দগঞ্জ গ্রামের কৃষক মো. মনিরুজ্জান (৪০)। তিনি মাঠে ধান কাটতে গিয়ে বজ্রপাতে নিহত হয়েছেন। অপরদিকে আটঘরিয়াতে এনামুল হক (১৬) নামে এক কলেজছাত্র বাড়ির পাশে খোলা মাঠ থেকে ঘাষ কেটে ফেরার পথে বজ্রপাতে নিহত হয়েছে।

এদিকে স্বল্প সময়ের বজ্রসহ শিলাবৃষ্টি ও ঝড়ে জেলার বিভিন স্থানে গাছের ডালপালাসহ টিনের তৈরি বসতবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সড়কের পাশে থাকা গাছ উপড়ে পড়ে থাকতে দেখা গেছে। তবে এ বিষয়ে জেলার প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তাসহ স্থানীয় প্রশাসনের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। ঝড় ও শিলা বৃষ্টির খোঁজ খবর নিয়ে পরবর্তীতে জানাতে পারবেন বলে জানিয়েছেন পাবনা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও)।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৯, ২০২৩
এমএমজেড

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।