রংপুর: রংপুরের পীরগাছায় ড্যান্ডি খেয়ে নেশাগ্রস্ত অবস্থায় ছাদ থেকে পড়ে মিঠু মিয়া (১৬) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।
মঙ্গলবার (২ মে) ভোরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসাপাতালে তার মৃত্যু হয়।
নিহত মিঠু মিয়া উপজেলার অনন্তরাম সরকারটারী গ্রামের ভ্যানচালক শহিদুল ইসলামের ছেলে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, দুই বন্ধুসহ ওই মাদরাসার ছাদে ড্যান্ডি দিয়ে নেশা করে মিঠু মিয়া। এ সময় অতিরিক্ত নেশাগ্রস্ত হয়ে মিঠু মিয়া ছাদ থেকে নিচে পড়ে যান। এ ঘটনায় তার সঙ্গে থাকা দুই বন্ধু পালিয়ে যান। পরে স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে প্রথমে পীরগাছা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও পরে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসাপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ভোরে তিনি মারা যান।
নিহতের বাবা শহিদুল ইসলাম জানান, মিঠু মিয়া ঢাকায় একটি প্রেসে শ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন। ঈদের ছুটিতে বাড়িতে এসে আর ফিরে যাননি।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পলিথিন ব্যাগে আঠাল পদার্থ নিয়ে কিছুক্ষণ ঝাঁকানো হয়। তারপর পলিথিন থেকে নাক বা মুখ দিয়ে বাতাস টেনে নেয়। এই নেশা 'ড্যান্ডি' নামে পরিচিত। এসব মূলত ছোটখাটো ইলেকট্রনিক যন্ত্রপাতি, ডিভাইস, চামড়া ও প্লাস্টিকের পণ্য জোড়া লাগানোর কাজে ব্যবহৃত হয়। মূলত ‘ড্যান্ডি’ আঠা ঘ্রাণযুক্ত এবং ঘ্রাণ থেকেই এক ধরনের আসক্তি হয়।
পীরগাছায় আশঙ্কাজনকহারে ছড়িয়ে পড়েছে ড্যান্ডি নেশা। কম টাকায় হাতের কাছে সহজেই পাওয়া যাওয়ায় বাড়ছে সেবনকারীর সংখ্যা।
এসব আঠা সাধারণত হার্ডওয়ারের দোকানে বিক্রি হয়। দাম বেশি হওয়ায় আসক্ত শিশু ও কিশোরা কৌটা কিংবা টিউব কেনে না। প্রয়োজন অনুযায়ী ইলেক্ট্রনিক রিপেয়ারের দোকান বা জুতা মেরামতকারীদের (মুচি) কাছ থেকে ৩০-৪০ টাকার বিনিময়ে অল্প করে সংগ্রহ করে থাকে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে পীরগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসুমুর রহমান বলেন, ছেলেটি সলিউশন দিয়ে নেশা করতো বলে আমরা জেনেছি।
রংপুর কোতয়ালী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) জাহিদ হোসেন বলেন, ছাদ থেকে পড়ে মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে। কোনো অভিযোগ না থাকায় ময়নাতদন্ত ছাড়াই মরদেহ পরিবারের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯০৫ ঘণ্টা, মে ২, ২০২৩
এসএম