ঢাকা: কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে জমিজমা নিয়ে বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষের দেওয়া আগুনে দগ্ধ হয়ে বাবার মৃত্যুর পর মারা গেলেন ছেলে ফারুক মণ্ডলও (২২)। এনিয়ে এই ঘটনায় মারা গেলেন ৩ জন।
বৃহস্পতিবার (৪ মে) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) তার মৃত্যু হয়েছে।
এরআগে রোববার (৩০ এপ্রিল) রাত পৌনে ১০টার দিকে মারা যান ফারুকের বাবা দীনি মণ্ডল। আর ওইদিন দুপুরে মারা যান আক্তার মণ্ডল।
স্বজনরা জানান, ফারুক নির্মাণ শ্রমিক ছিলেন। তিন ভাই ও ১ বোনের মধ্যে সবার ছোট ও অবিবাহিত ছিলেন তিনি।
ফারুকের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঢাকা মেডিকেল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. বাচ্চু মিয়া।
চিকিৎসকের বরাত দিয়ে তিনি জানান, মৃত ফারুক মণ্ডলের শরীরে ৩৫ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল। এই ঘটনায় একই হাসপাতালে ভর্তি থাকা তাদের প্রতিবেশী সাইদুল কাজীর (৩৫) অবস্থাও গুরুতর।
এছাড়া এই ঘটনায় কবজি বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ায় পঙ্গু হাসপাতালে ভর্তি আছেন ফজলুল মণ্ডল (৫০) নামে আরও একজন।
ফারুক মণ্ডলের চাচাতো ভাই আল মামুন জানান, তাদের বাড়ি দৌলতপুর উপজেলার চিলমারি ইউনিয়নের আমদানি ঘাট এলাকায়। গত দুই মাস ধরে একই ইউনিয়নের খাঁ ও শিকদার গোষ্ঠীর সঙ্গে দ্বন্দ্ব চলছিলো তাদের।
তিনি বলেন, ওই পক্ষ আমাদের কয়েকজনকে মারধর করে। সেই ঘটনায় আমরা দৌলতপুর থানায় মামলা করি। গত ২৭ এপ্রিল দুপুরে তার চাচা দীনি মণ্ডল, চাচাতো ভাই ফারুকসহ কয়েকজন চিলমারি বাজারে গেলে খাঁ ও শিকদার গোষ্ঠীর লোকজন লাঠি ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে তাদেরকে ধাওয়া করে। ধাওয়া খেয়ে চিলমারি বাজার মোজাম্মেল মণ্ডলের বাড়িতে গিয়ে আত্মগোপনের চেষ্টা করেন তারা। এসময় দেড় থেকে দুইশ লোক সেই ঘরবাড়ি ভাঙচুর করে ও পেট্রোল দিয়ে আগুন ধরিয়ে দেয়। এতে পাঁচটি ঘর পুড়ে যায়। কয়েকজন দগ্ধ হন। এছাড়া কয়েকজনকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে আহত করা হয়। পরে তাদের উদ্ধার করে দৌলতপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে ৪ জনকে বার্ন ইনস্টিটিউটে ও ফজলুল মণ্ডলকে পঙ্গু হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়।
আরও পড়ুন >>দৌলতপুরে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় দগ্ধ ২ জনের মৃত্যু
বাংলাদেশ সময়: ১৪৪০ ঘণ্টা, মে ০৪, ২০২৩
এজেডএস/এসএএইচ