ফেনী: ঘুর্ণিঝড় ‘মোখা’র সম্ভাব্য ক্ষতি মোকাবিলায় ফেনীর সোনাগাজী উপকূলীয় অঞ্চলে ৪৩ আশ্রয়ণকেন্দ্র প্রস্তুত করা হয়েছে। এতে ১৬ হাজার মানুষ আশ্রয় নিতে পারবেন।
শুক্রবার (১২ মে) তিনি জানান, উপকূলীয় মানুষের স্বাস্থ্যসেবায় ১৪টি মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে। প্রস্তুত রাখা হয়েছে রেডক্রিসেন্ট, সিপিপিসহ স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সদস্যদের।
সোনাগাজীতে শনিবারের (১৩ মে) মধ্যে বোরো ধান সম্পূর্ণরূপে কাটা সম্পন্ন হবে বলে জানিয়েছেন কৃষি কর্মকর্তা মাইন উদ্দিন আহমেদ। তিনি আরও জানান, বর্তমানে মাঠে আর কোনো ফসল নেই।
সোনাগাজী উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তরের তথ্যমতে, উপকূলীয় এলাকায় ভেড়া আছে ৪ হাজার ৮৬১টি, ছাগল ২ হাজার ১৩০টি, গরু ৬ হাজার ৩১০টি, মহিষ ২ হাজার ৫৭২টি, হাঁস ২৩ হাজারটি ও মুরগি আছে ১ লাখ ৩০ হাজার। সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানার আগেই উন্মুক্ত চর থেকে প্রাণিগুলো খামারির মাধ্যমে নিরাপদ স্থানে নিয়ে আসার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
উপজেলা মৎস্য দপ্তর সূত্র জানায়, তালিকাভুক্ত ২৫০ জন জেলে রয়েছে। ছোটবড় শতাধিক মাছ ধরার নৌকা রয়েছে। তাদের নিরাপদে থাকতে বলা হয়েছে।
সোনাগাজী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কামরুল হাসান বলেন, সম্ভাব্য দুর্যোগে ক্ষতি মোকাবিলায় আমাদের যথেষ্ট সামর্থ রয়েছে। উপকূলবাসীর যেটিই প্রয়োজন আমাদের কাছে তা যথেষ্ট রয়েছে।
সোনাগাজী উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. নেবু লাল দত্ত জানান, খামারিদের সচেতনতামূলক প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়ে থাকে। ঘুর্নিঝড়ের আশঙ্কা হলেই চরাঞ্চলে আমাদের কর্মকর্তা পাঠিয়ে খামারিদের প্রাণিগুলো আশ্রয়ণকেন্দ্রে নিয়ে আসতে বলা হয়।
জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, এরই মধ্যে দুর্যোগে সম্ভাব্য ক্ষতি মোকাবিলায় চাল, টাকা, শুকনো খাবার বরাদ্দ দিয়েছে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর।
বাংলাদেশ সময়: ২১১৩ ঘণ্টা, মে ১২, ২০২৩
এসএইচডি/জেএইচ