রাজশাহী: অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় মোখা ১৮০ কিলোমিটার বেগে কক্সবাজার ও মিয়ানমার উপকূলে তাণ্ডব চালালেও এর ন্যূনতম কোনো প্রভাব নেই রাজশাহীতে। তীব্র রোদ ও গরমে নাভিশ্বাস উঠেছে রাজশাহীর মানুষের।
ধারণা করা হচ্ছিল ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাবে রাজশাহী অঞ্চলে কিছুটা হলেও ঝড়-বৃষ্টি হবে। কিন্তু রোববার (১৪ মে) বিকেল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত রাজশাহীর আকাশে মেঘের কোনো আনাগোনা লক্ষ্য করা যায়নি। রোদের দাপটে দুপুরের পর প্রধান প্রধান সড়কগুলোও ফাঁকা হয়ে পড়ে। বাইরে থাকা অনেক মানুষ একটু প্রশান্তির পরশ পেতে গাছের ছায়ার খোঁজে নির্জন এলাকায় চলে যান। কিন্তু গরমের তীব্রতার কারণে কোথাও স্বস্তি নেই। এর ওপর ঘূর্ণিঝড় মোখার কারণে শনিবার (১৩ মে) রাত থেকে দেখা দিয়ে দিয়েছে বিদ্যুৎ গোলযোগ। দিনের অধিকাংশ সময়ই বিদ্যুৎ মিলছে না। ঘণ্টার পর ঘণ্টা লোডশেডিং চলছে। একদিকে গরমের তীব্রতা অন্যদিকে বিদ্যুতের লোডশেডিংয়ে দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে রাজশাহীর জীবন যাত্রা।
রাজশাহী আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের জ্যেষ্ঠ পর্যবেক্ষক রাজীব আহমেদ খান বাংলানিউজকে বলেন, রোববার (১৪ মে) বিকেল তিনটায় রাজশাহীতে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৬ দশমিক পাঁচ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এদিন সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর সকাল ছয়টায় বাতাসের আদ্রতা ছিল ৯৬ শতাংশ ও বিকেল ৩টায় ৩৮ শতাংশ। আপাতত রাজশাহীর আকাশে মেঘ না থাকায় বৃষ্টির কোনো সম্ভাবনা নেই।
বাংলাদেশ সময়: ১৬১১ ঘণ্টা, মে ১৪, ২০২৩
এসএস/আরআইএস