ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

টার্মিনালের সামনের সড়কে গণপরিবহনের অবৈধ পার্কিং

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩০১ ঘণ্টা, মে ১৪, ২০২৩
টার্মিনালের সামনের সড়কে গণপরিবহনের অবৈধ পার্কিং

ঢাকা: সড়কের দুই পাশে সারিবদ্ধভাবে দাঁড় করিয়ে রাখা হয়েছে অসংখ্য দূরপাল্লার গণপরিবহন। আবার দাঁড়িয়ে আছে উবার-পাঠাও (মোবাইল ভিত্তিক পরিবহন সেবা) এর মোটরসাইকেল।

অন্যদিকে সড়কে যানবাহনেরও চাপ রয়েছে।  

কিন্তু পাশেই দূরপাল্লার গণপরিবহনের জন্য রয়েছে বিশাল টার্মিনাল। তবুও প্রধান সড়ককেই পার্কিং হিসেবে অবৈধ ব্যবহার করছেন দূর্পাল্লার গণপরিবহন শ্রমিকরা। এতে সৃষ্টি হচ্ছে যানজট।  

রাজধানীর মহাখালী আন্তঃজেলা বাস টার্মিনালের সামনের প্রধান সড়কের দুই বাসে অবৈধভাবে পার্কিং করে রাখা হয়েছে বিভিন্ন পরিবহনের দূরপাল্লার বাস।  

পুলিশ বলছে, পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের পক্ষ থেকে এসব গণপরিবহনের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হলেও তারা মানছে না কোনো নিয়ম।  

রোববার (১৪ মে) বিকেল ৫টা থেকে রাত পর্যন্ত রাজধানীর মহাখালী আন্তঃজেলা বাস টার্মিনালের সামনে প্রধান সড়কে সরেজমিনে দেখা যায়, টার্মিনাল ঘেঁষে সড়কের পাশে অবৈধ পার্কিং করা রয়েছে সারি সারি বাস। প্রধান সড়কের নাবিস্কো থেকে মহাখালী পর্যন্ত জায়গায় জায়গায় একইভাবে রাখা হয়েছে বাসগুলো। এতে সড়কের একটি লেন প্রায় দূরপাল্লার গণপরিবহনের দখলেই থাকছে। অপর দিকে মহাখালী ইউলুপ দিয়ে টার্মিনাল থেকে বাস বের হওয়ার সময়ও সড়কে সৃষ্টি হচ্ছে যানজট। টার্মিনালের বিপরিত পাশে বাস দাঁড় করিয়ে তোলা হচ্ছে যাত্রী।

সরেজমিনে আরও দেখা যায়, সড়কের পাশে দাঁড় করানো অবস্থায় রয়েছে ঢাকা-হালুয়াঘাট-ঢাকাগামী বাস শ্যামলী বাংলা পরিবহন, ইমাম পরিবহন, আলম এশিয়া পরিবহন, অভ্যন্তরীন সিটি সার্ভিসের জলশিড়ি পরিবহনসহ আরও বিভিন্ন কোম্পানির গণপরিবহনের একাধিক বাস। এই বাসগুলো টার্মিনালের বাইরে সড়কের পাশে দাঁড় করানো অবস্থায় থাকতে দেখা গেছে।  

অপর দিকে ইউলুপের মধ্যে সড়কে রাখা হয়েছে পুলিশে র‌্যাকার যান। অন্যদিকে সড়কের দুই পাশেই দায়িত্বরত রয়েছে পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের সদস্যরা। কিন্তু সড়কে ট্রাফিক পুলিশ সদস্যরা থাকলেও সড়কের পাশে অবৈধ পার্কিং করতে কোনো দিধা করছেন না গণপরিবহন শ্রমিকরা (চালক-হেলপার, মালিক পক্ষের লোক)।

গণপরিবহন চালকরা বাংলানিউজকে বলেন, টার্মিলানের ভেতরে সব সময় গাড়ি রাখা হয়৷ কিন্তু বাসের সিরিয়াল অনুযায়ী পরে সড়কের পাশে দাড় করানো হয়৷ নয়তো টার্মিনালের ভেরত থেকে গাড়ি বের করতে অনেক সময় লেগে যায়।

তারা আরও জানায়, অনেক সময় পুলিশ সদস্যরা গাড়ি সরিয়ে নিতে বলে। কিন্তু তাদের অনুরোধ করে  আমরা বাস রেখেছি। অনেক সময় পুলিশ মামলাও দেয় আবার র‌্যাকার লাগিয়ে দেয়।  

এদিকে, পুলিশ সদস্যরা বলছেন, মহাখালী বাস টার্মিনালের সামনের সড়কটি অনেক ব্যস্ততম একটি সড়ক। এখানে দূরপাল্লার গণপরিবহন বাস সড়কের পাশে বেশিক্ষণ থাকতে দেওয়া হয় না। আমাদের পুলিশ সদস্যরা দাঁড়িয়ে থাকা বাসগুলোকে দ্রুতই সেখান থেকে সরিয়ে দেয়।  

অন্যদিকে, সড়কের পাশে বাস পার্কিং করলে ট্রাফিক বিভাগের পক্ষ থেকে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়ে থাকে।  

এবিষয়ে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) ট্রাফিক বিভাগের মহাখালী জোনের ট্রাফিক অফিসার (টিআই) মো. সালাউদ্দিন বাংলানিউজকে বলেন, ব্যস্ততম এই সড়কটি যানজটমুক্ত রাখতে আমরা প্রতিনিয়ত চেষ্টা করে যাচ্ছি। ট্রাফিক সদস্যরা সড়কে যানবাহনের অবৈধ পার্কিংয়ের বিরুদ্ধে প্রতিদিনই আইনগত ব্যবস্থা নিচ্ছে। সড়কের পাশে অবৈধ পার্কিং করলেই পরিবহনের বিরুদ্ধে মামলা দেওয়া ও র‌্যাকারিং করা হচ্ছে।  

বাংলাদেশ সময়: ২২৫৯ ঘণ্টা, মে ১৪, ২০২৩
এসজেএ/ এসএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।