মাগুরা: মাগুরা সদর উপজেলায় হাঁসের ছানার মৃত্যুর ঘটনায় দুই পক্ষের সংঘর্ষ ঘটেছে। এতে উভয়পক্ষের নারীসহ আহত হয়েছেন ৭ জন।
আহতরা হলেন - পালাশ রায় (৪০) নিধীর রায় (৪০) মিন্টু রায় (৪০) প্রমীলা রায় (৩০) সুবর্ণা রায় (২২) আমীম রায় (৩৮) স্বপন রায় ( ৩০)। আহতদের মাগুরা ২৫০ শয্যা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৮ মে) উপজেলার মঘি ইউনিয়ন কেচুয়াঢুবি গ্রামে এ সংঘর্ষ ঘটে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানিয়েছেন, সকালে অসীম রায় ও স্বপন রায়ের মধ্যে হাঁসের বাচ্চা মারা যাওয়ার বিষয়ে কথা কাটাকাটি হয়। এক পযায়ে অসীম রায়ে লোকজন ও স্বপন রায়ের লোকজনের ওপর হামলা করে। এতে উভয়পক্ষে নারী-পুরুষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।
সংঘর্ষের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন মাগুরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ সেকেন্দার আলী।
তিনি বলেন, মঘি ইউনিয়ন কেচুয়াঢুবি গ্রামে হাঁসের বাচ্চা মৃত্যু ঘটনায় দুই পক্ষের সংঘর্ষ ঘটেছে। এতে উভয়পক্ষের লোকজন আহত হয়েছেন। আহতদের মাগুরা ২৫০ শস্যা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছি। এ ব্যাপারে থানা লিখিত অভিযোগ দিলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এদিকে সংঘর্ষের ঘটনায় ভিন্ন কারণ দাবি করেছেন আহত আসীম রায়।
তিনি বলেন, বিদ্যালয়ে যাওয়ার পথে ৯ম শ্রেণী পড়ুয়া আমার মেয়েকে প্রতিবেশী প্রবীরের ছেলে হৃদয় রায় ও অমিত রায়,পরশ রায় দীর্ঘ দিন ধরে উত্ত্যক্ত করেছিল। এর প্রতিবাদে তিন মাস আগে মাগুরা জজ কোটে একটি নারী ও শিশু নির্যাতন আদালতে মামলা করি। সেই মামলা তুলে নেওয়ার জন্য নানাভাবে আমাকে হুমকি দিচ্ছেলেন প্রতিবেশী পলাশ রায় ও নিধীর রায়সহ অন্যরা। যার সূত্র আজ আমার বাড়িতে এসে আমাকে হাতুড়ি ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে আহত করে। আমার বাড়ি-ঘর ও মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে প্রতিপক্ষের লোকজন।
বাংলাদেশ সময়: ১৮০৭ ঘণ্টা, মে ১৮, ২০২৩
এসএএইচ