ঢাকা: বিএনপির এ ধরনের সার্কাস আমরা বহুদিন ধরে দেখে আসছি। মির্জা ফখরুল সাহেবের সার্কাসও দেশের মানুষ দেখছে।
রোববার (২১ মে) সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে শাবাশ বাংলাদেশ গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এমন মন্তব্য করেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ‘দশ দফা না, এক দফা’ ঘোষণা দিয়ে আন্দোলনে নেমে সরকারের পতন ঘটাবেন- এ বিষয়ে মতামত জানতে চাইলে তথ্যমন্ত্রী বলেন, বিএনপি মাঝে মাঝে এক দফায় যায়। আবার কিছুদিন পর আরেক দফা বাড়ে। কিছু দিন পর পরই এ ঘটনা ঘটে। ওনারা আগেও এ রকম দশ দফা, ১২ দফা, ১৪ দফা, ১৭ দফা দিয়েছেন। এগুলো আগেও ঘটেছে। তাদের দফা বাড়ে আবার কমে, জোটের আকারও বাড়ে আবার কমে। নিজেরা ভাগ হয়, দ্বিখণ্ডিত হয়।
তিনি বলেন, বিএনপির এ ধরনের সার্কাস আমরা বহুদিন ধরে দেখে আসছি। মির্জা ফখরুল সাহেবের সার্কাসও দেশের মানুষ দেখছে। এগুলো মানুষের কাছে হাস্যরস-কৌতুক ছাড়া আর কিছু নয়। বিএনপির আন্দোলন কাগুজে বাগ, খালি কলসি বেশি বাজার মতো ছাড়া বেশি কিছু নয়।
এদিন দুপুরেই কৃষিমন্ত্রী পেঁয়াজের দাম নিয়ে অসৎ ব্যবসায়ীদের মজুদ করার বিষয়ে বলেছেন। তাহলে এসব ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে সরকার কেনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না- জানতে চাইলে তথ্যমন্ত্রী বলেন, প্রথমতো, আমাদের দেশে পণ্যের কোনো সঙ্কট নেই। সরকারের কাছে সকল ভোগ্যপণ্যের যথেষ্ট মজুদ রয়েছে। পাশাপাশি ভোগ্যপণ্য আসছেও। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য যে, কয়েকজন ব্যবসায়ী এগুলোকে নিয়ন্ত্রণ করার অপচেষ্টায় থাকেন। কিছু আড়ৎদার মজুদদার অস্বাভাবিকভাবে অতি মুনাফা লাভের জন্য দাম বাড়ায়। এটি প্রথমতো অনৈতিক, আইনবিরোধী।
হাছান মাহমুদ বলেন, বাংলাদেশে কিন্তু মজুদ সংক্রান্ত আইন আছে। এগুলো আইন বর্হিভূত। সরকার, ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তর এ বিষয়ে অনেক কাজ করছে। সে ক্ষেত্রে কিছু সুফলও আমরা পেয়েছি। এখনো যারা অস্বাভাবিকভাবে বিভিন্ন পণ্যের দাম অহেতুক বাড়াচ্ছে, জনগণের ভোগান্তির তৈরি করছে বা তৈরি করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে, সরকার প্রয়োজনে কঠোর হস্তে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪০২ ঘণ্টা, মে ২১, ২০২৩
জিসিজি/এনএস