ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

চাঁদা না পেয়ে অপহরণ: ঢাকা কলেজ ছাত্রলীগের দুই নেতা রিমান্ডে

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট   | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২৩৮ ঘণ্টা, মে ২৭, ২০২৩
চাঁদা না পেয়ে অপহরণ: ঢাকা কলেজ ছাত্রলীগের দুই নেতা রিমান্ডে

ঢাকা: চাঁদা না পেয়ে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের এক কর্মকর্তাকে অপহরণ ও নির্যাতনের অভিযোগে হওয়া মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া দুই ছা্ত্রলীগ নেতার একদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

শনিবার (২৭ মে) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মেহেদী হাসান রিমান্ডের এই আদেশ দেন।

রিমান্ড পাওয়া দুই নেতা হলেন- ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সহ-সম্পাদক জনি হাসান এবং সাবেক উপক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক এস এম শফিক।

এদিন দুই আসামিকে আদালতে হাজির করে তিনদিনের রিমান্ড আবেদন করে নিউমার্কেট থানা পুলিশ। শুনানি শেষে বিচারক তাদের একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

সিএমএম আদালতে নিউমার্কেট থানার সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) শরীফ সাফায়েত বাংলানিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে বৃহস্পতিবার (২৫ মে) রাতে ঢাকা কলেজের নর্থ হলের ১২০ নম্বরে রুমে অপহরণ ও নির্যাতনের এ ঘটনা ঘটে। পরে শুক্রবার (২৬ মে) তাদের গ্রেপ্তার করে নিউ মার্কেট থানা পুলিশ।

মেহেদী হাসান নামে ভুক্তভোগী ওই ব্যক্তি মামলায় অভিযোগ করেন, তিনি সিগমাইন্ড নামে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কোয়ালিটি কন্ট্রোলার হিসেবে কাজ করেন। আসামিরা ঢাকা কলেজের ছাত্র পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন স্থানে চাঁদাবাজি এবং ভুক্তভোগী মেহেদীর কাছে চাঁদা দাবি করে আসছিলেন। চাঁদা না দেওয়ায় গত ২৫ মে সন্ধ্যায় রাজধানীর মোহাম্মদপুরের বছিলা ব্রিজ এলাকা থেকে প্রতিষ্ঠানটির লাগানো সিসি ক্যামেরাসহ অন্যান্য যন্ত্রপাতি খুলে নিয়ে যান তারা।

ক্যামেরা ফেরত পেতে মেহেদীকে ফোন করে ঢাকা কলেজে যেতে বলেন সিয়াম ও রমজান নামে দুই ছাত্রলীগ কর্মী। এরপর তৌকির নামে এক কর্মচারীকে ঢাকা কলেজে পাঠান তিনি। ক্যামেরা ফেরত নিতে আসা তৌকিরকে জিম্মি করে তিন লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়। টাকা না পেলে মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হয়। পরে মেহেদী নিজে ঢাকা কলেজের নর্থ হলে গেলে তাকেও জিম্মি করা হয়।

এ সময় ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতার নেতৃত্বে মেহেদী ও তৌকিরকে হলে আটকে রেখে নির্যাতন করা হয়। পরে তাদের কাছে থাকা নগদ টাকা, এটিএম কার্ড ছিনিয়ে নেন তারা। রাতে মারধর করে তৌকিরকে ছেড়ে দিলেও মেহেদীকে রাতভর নির্যাতন করা হয়। নির্যাতনের কারণে মেহেদীর অবস্থার অবনতি হলে শুক্রবার (২৬ মে) দুপুর ১২টার দিকে ঢাকা কলেজ থেকে বের করে নিউ মার্কেটের গাউছিয়া মোড়ে কৌশলে ফেলে রেখে তারা পালিয়ে যান।

এরপর নিউমার্কেট থানার টহল পুলিশকে বিষয়টি জানালে তারা মেহেদীকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেলে ভর্তি করেন। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী মেহেদী বাদী হয়ে জনি হাসান, এস এম শফিকসহ ১৫ জনের নাম উল্লেখ করে এবং আরও অজ্ঞাত ১০-১২ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।

মামলার অন্য আসামিরা হলেন- ছাত্রলীগ কর্মী মো. গোলাপ হোসেন, মোহেরাব হোসেন সিয়াম, অর্নব, মো. রমজান, গোপাল, রাব্বী তালুকদার, বেল্লাল হোসেন, তারিফ, সালমান, মো. রায়হান, মাসুম, ফাহিম ও শাহীন।

বাংলাদেশ সময়: ২২৩৪ ঘণ্টা, মে ২৭, ২০২৩
কেআই/এফআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।